সাপের কামড়ে মৃত এক আদিবাসী মহিলার দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে করোনা হাসপাতাল থেকে ওঝার বাড়ি নিয়ে গেলেন পরিজনরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীনির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর পর তাঁকে করোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের।
জানা গিয়েছে, নিহত মহিলার নাম লক্ষ্মী মার্ডি (২৮)। তিনি রায়গঞ্জের সোহারই মোড়ের বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। এর পর তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। এর পর তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁকে পাঠানো হয় কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছট পাড়ুয়ার করোনা হাসপাতালে। সেখানে শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়।
অভিযোগ, রোগীর মৃত্যুর পর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে সশস্ত্র অবস্থায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বুঝে পুলিশ ডাকেন করোনা হাসপাতালের সুপার দিলীপ কুমার গুপ্ত। গভীর রাতে পুলিশ পৌঁছয় হাসপাতালে। এর পর বন্ড সই করিয়ে রোগীনির দেহ নিয়ে ওঝার বাড়ি যায় পরিবারের সদস্যরা।
হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত অবস্থায় মৃত রোগীর দেহ ফেরত চাইছিল পরিবার। যা নিয়ে করোনা হাসপাতালের বাইরে আইনশৃঙ্খলার অবনতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। তাই পুলিশ ডাকি। মৃতের পরিবারের দাবি, তারা ওঝাকে দিয়ে রোগীকে সুস্থ করবে।
রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরোজ থাপা বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।’ এই প্রথম সরকারিভাবে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত অবস্থায় মৃত কোনও ব্যক্তির দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিল প্রশাসন।