বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর। এই সন্দেহে আগে গোলমাল হয়েছিল। স্বামী–স্ত্রীর এই অশান্তি তখনকার মতো থামলেও সন্দেহ বাড়তে থাকে স্বামীর। এই নিয়ে শুক্রবার অশান্তিও হয়েছিল। স্ত্রী সরাসরি স্বামীর কাছে প্রমাণ চেয়ে বসেন। বলেছিলেন, ‘আমাকে দুশ্চরিত্রা বলার প্রমাণ দিতে হবে।’ তখনই ঝগড়ার সময় দা দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী! নদিয়ার পায়রাডাঙার এই ঘটনায় শিউরে উঠেছেন বাসিন্দারা।
ঠিক কী ঘটেছে নদিয়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৬ বছর আগে অসমের যুবতী অলকা দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় পায়রাডাঙার যুবক সঞ্জিত দাসের। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীয়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন সঞ্জিত। অলকার বেশিরভাগ সময় কাটত মোবাইল নিয়ে। তাতেই স্বামীর সন্দেহ আরও বাড়তে থাকে। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি এটাই কারণ ছিল। তাঁদের দু’বছরের ছেলেও আছে।এই অশান্তি থেকেই স্ত্রীকে খুন করে স্বামী।
তদন্তে কী উঠে এসেছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম অলকা দাস (২৭)। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে আগের দিন রাতে তুমুল অশান্তি হয়েছিল। তখন দু’বছরের ছেলের সামনেই নৃশংসভাবে দা দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপায় স্বামী সঞ্জিত। এই ঘটনায় স্থানীয়রা অলকা দেবীকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। স্বামী সঞ্জিত দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় বাসিন্দারা শিউরে উঠেছেন। অলকার গোঙানি শুনেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরা ছুটে এসে দরজা ভেঙে ওই দম্পতির ঘরে ঢোকেন। তখন রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিলেন ওই গৃহবধূ। আর ওই ঘরেতেই দা হাতে দাঁড়িয়েছিল সঞ্জিত। তখনই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এই ঘটনা দেখেছে দু’বছরের ছেলেও।