দলের মধ্যে অন্তর্কলহের কথা পরোক্ষে স্বীকার করে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেইসঙ্গে দলীয় কোন্দল থামাতে কর্মীদের মানসিকতা পরিবর্তনের দাওয়াই দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পাশে বসিয়েই এই বার্তা দিলেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বার্তা, ‘আমাদের একজন টিকিট পেয়েছে। বাকি দুজন তাঁর পিছনে লেগে যাচ্ছে। তাঁরা ভাবছে, ওই লোকটা যদি হারে, তাহলে পরেরবার তাঁর টিকিট হবে। এই মানসিকতা যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে বিজেপি কোনওদিন রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’ একইসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেই আত্মসমালোচনা করে সুকান্তবাবু বলেন, ‘তৃণমূলের লোকেরা সারা বছর ধরে নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। তবে ভোট এলেই সব চোর এক হয়ে যায়। কারণ, জানে, ভোটে জিততে না পারলে তোলাটা তুলতে পারব না। আমাদের দলে ঠিক উল্টোটা হচ্ছে। আমরা সারা বছর ধরে একসঙ্গে ভারত মাতা কি জয় বলে যাচ্ছি। ভোটের সময়ে প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেলেই শুরু হয়ে যায়, তাঁকে কী করে হারানো যায়, সেটা নিয়ে ভাবা। এভাবে ভোটে জেতা যায় না।’
গত রবিবার মেদিনীপুরে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানে সুকান্তবাবুর সঙ্গে হাজির ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিছুদিন আগেই সুকান্তবাবুকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল দিলীপবাবুকে। সেই দিলীপবাবুকে পাশে বসিয়েই সুকান্তবাবু দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে জানান, ‘দিলীপবাবু হোন, বা আমিই হই, আপনি তো আপনাদের দলের নেতাকেই যোগ্য মনে করেন না। তাহলে সাধারণ মানুষ কেন মনে করবে?’ সুকান্তবাবু যতই আত্মসমালোচনা করুন না কেন, বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূল নেতা সুখেন্দু শেখর রায় জানান, ‘ওরা হেরেছেন, কিন্তু হারের কারণ বোঝেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে হলে তাঁর বিকল্প চাই। কিন্তু সেই বিকল্প কোথায়?’