নিজের দলের নেতার স্ত্রী'কে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশ্লীল ছবি পাঠানোর অভিযোগ উঠল আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি দলীয় পদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এলেই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। কালিয়াগঞ্জের শিমুলতলার বাসিন্দা যে মহিলা এই অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামীও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনই করেন। যাঁর বিরুদ্ধে মহিলার অভিযোগ, তিনি আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি শেখর দাস। মহিলা জানিয়েছেন, ‘যেহেতু আমার স্বামী একটা সময়ে কালিয়াগঞ্জের আইএনটিটিইউসিতে ছিলেন, তাই সেই সূত্র ধরেই শেখরের সঙ্গে পরিচয়। আমার নামে যে ফেসবুক প্রোফাইলটি রয়েছে, সেটা আমার মেয়ে চালায়। শেখর দাস ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোয় সেটি অ্যাকসেপ্টও করে নেয়। তারপর থেকে ফেসবুকে লাগাতার অশ্লীল মেসেজ পাঠাতে থাকেন শেখর। এমন সব ছবি পাঠানো হত, সেটা আর বলার মতো নয়।’
এই প্রসঙ্গে ওই মহিলার ছেলে জানান, ‘দলীয় পদ পাইয়ে দেবেন বলে আমার কাছ থেকে উনি ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি ১৫ লাখ টাকা দিতে পেরেছি। ওঁনার ওই টাকা নেওয়াটা ভিডিয়ো করে রেখেছিলাম। সেটা ভিডিয়ো করে রেখেছি বুঝতে পেরেই নানারকমের হুমকি দেওয়া শুরু হয়।’
এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানান, ‘ওই ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, সেই তৃণমূল নেতা জানান, যা বলার তিনি জেলা সভাপতিকেই বলবেন।