ফাঁকা শ্রেণীকক্ষে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর ওই শিক্ষককে ঘরে তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আটক করেছে।
জানা গিয়েছে, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ ব্লকের বাহীন গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্করপুর এলাকার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এদিন ভর্তি সংক্রান্ত ও মিড ডে মিলের ব্যাপারে পড়ুয়াদের ডাকা হয়েছিল। অন্যান্য শিক্ষকরা যখন কাজ করছিলেন, তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফাঁকা ঘরে নিয়ে যান। তারপর বাড়তি সোয়াবিন দেওয়ার নাম করে ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেন। বাড়িতে ফিরে সব কথা মাকে খুলে বলেন ওই ছাত্রী। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
এই খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে স্কুলে চড়াও হন। এরপর প্রধান শিক্ষককে একটি ঘরের মধ্যে তালাবন্ধ করে দেয়। ঘরবন্দি করার পর বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ এসে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে। এরপর গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। আদৌ এই ঘটনার সঙ্গে ওই শিক্ষক জড়িত রয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক।