জগদ্দলে তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় আরও ঘনাল রহস্য। ওই ঘটনায় শুক্রবারই ২ জনকে গ্রেফতার করে বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। তার পর বিকেলে খবর পাওয়া যায় ভিকি ঘনিষ্ঠ এক যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। হরেরাম সাউ নামে ওই যুবককে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ।
নিহত হরেরাম ভিকির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় তাঁকে জগদ্দল থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় হরেরামের দেহ উদ্ধার হয়। ঘরেই একটি হোয়াইট বোর্ডে লেখা ছিল, ভিকি ভাইয়ের খুনের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার পরিবারও এই খুনে যুক্ত নয়। তাও যদি তোমাদের মনে হয় আমি ভিকি ভাইকে খুন করেছি তাহলে আমি তাঁর কাছে চলে যাচ্ছি। শেষে তিনি লিখেছেন, ‘ছোটু মাকে দেখিস।’
হরেরামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। সঙ্গে সুইসাইড নোট হরেরামেরই লেখা কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
তবে এই মৃত্যু রহস্যজনক বলে মনে করছেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তিনি বলেন, ‘ভিকি খুনে গ্রেফতার রিঙ্কু ও রইস আলি নামে ২ জন ধরা পড়েছে। তার মধ্যে রিঙ্কু হরেরামের নাম বলে। তাই তাঁকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। নিজের ঘনিষ্ঠ জনের খুনের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ছেলেটি। কী কারণে সে আত্মঘাতী হল তা পুলিশের খতিয়ে দেখা উচিত।’