সেক্স টয় কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। তাঁর থেকে মোট ৩৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার শিলিগুড়ির একটি ডান্স বারের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বেলাকোবার।
বছরদুয়েক আগে শিলিগুড়ির হংকং মার্কেটে সেক্স টয় কিনতে কিনেছিলেন বেলাকোবার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তাঁর দাবি, দোকানদার জানিয়েছিল যে বিদেশ থেকে সেক্স টয় আনতে হবে। সেজন্য অনেকটাই দাম পড়বে। যদি অগ্রিম হিসেবে এক লাখ টাকা দেন, তাহলে বিদেশ থেকে সেই সেক্স টয় এনে দেবে বলে দোকানদার জানিয়েছিল। সেইমতো অগ্রিম টাকাও দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তাঁর দাবি, পরে একদিন জানানো হয় যে ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে সেক্স টয় দিতে যাওয়ার সময় ডেলিভারি বয়কে পাকড়াও করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের নামও বলে দিয়েছে ডেলিভারি বয়। সেই পরিস্থিতিতে পুলিশকে টাকা না দিলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে প্রতারক ভয় দেখায়।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের দাবি, সেভাবেই তাঁর থেকে ৩৭ লাখ টাকা হাতিয়ে দেয় প্রতারক। টাকার চাহিদা মেটাতে নিজের জমি বেচতেও বাধ্য হন। শেষে কোনও উপায় না পেয়ে রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। অভিযোগের ভিত্তিতে শিলিগুড়ি থেকে পবন দাস নামে একটি ডান্স বারের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পবন। তার দাবি, বিষয়টি নিয়ে কিছু জানে না সে। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রতারণা করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে।