জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে সিপিএম যোগ। এই ঘটনায় ধৃত সাহারুল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দলুইখাকি গ্রামের একাধিক সিপিএম নেতাকর্মীর নাম উঠে এসেছে বলে পুলিশের দাবি। খুনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ‘বড়ভাই’-এর নামও জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে কেন খুন তা জানতে ধৃতকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে তারা।
গত সোমবার কাকভোরে জয়গনরের দলুইখাকি গ্রামে খুন হন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর। এর পর ২ অভিযুক্তকে তাড়া করে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তাদের মধ্যে ১ জনের গণধোলাইয়ে মৃত্যু হয়েছে। অন্যজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাহারুল শেখ নামে ওই দুষ্কৃতীর বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশের দাবি, খুনে যুক্ত একাধিক সিপিএম নেতা। ঘটনার পর ৭২ ঘণ্টা কাটলেও নিজেদের উদ্যোগে আর কাউকে যদিও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশের দাবি, ঘটনার পর আনিসুর লস্কর নামে যে সিপিএম নেতার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট হয়েছিল তিনিই খুনের মাস্টারমাইন্ড। দলুইখাকির বাসিন্দা আনিসুর ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ। এছাড়া জেরায় সাহানুর ‘বড়ভাই’ বলে যে ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন সেই আলাউদ্দিন সাঁপুই মন্দিরবাজার থানা এলাকার সিপিএম নেতা। এমনকী চালতাবেড়িয়ার বাসিন্দা মোতালেফ নামে যে ব্যক্তির বাড়িতে থেকে সাহানুর সইফুদ্দিনের ওপর নজর রাখছিলেন তিনিও একজন সিপিএম কর্মী। দুষ্কৃতীদের যে মোটরসাইকেলটি পুলিশ আটক করেছে তার মালিক মসিবুর রহমান লস্করও একজন সিপিএম নেতা। ঘটনার পর থেকে এরা প্রত্যেকেই বেপাত্তা।
এছাড়া ধৃতের বয়ানে উঠে এসেছে নাসির নামে এক ব্যক্তির কথা। পুলিশের দাবি, নাসিরই এই খুনের পরিকল্পনা করেছে। কলকাতায় ভাঙাড়ির ব্যবস্থা করেন নাসির। পরিবারের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।