পত্রবোমার পর তলব পড়েছে কলকাতায়। কিন্তু সেই বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা বজায় রাখলেন আসানসোলের মুখ্য পুরপ্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। মঙ্গলবার সকালে তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে যাব না পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলব তা এখনো ঠিক করিনি।
সোমবার প্রকাশ্যে আসে জিতেন্দ্র তিওয়ারির একটি চিঠি। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে লেখা সেই চিঠিতে তিনি জানান, রাজনৈতিক কারণে আসানসোলকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা থেকে বঞ্চিত করেছে রাজ্য সরকার। বদলে কোনও ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। এর পরই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের ভাষা শাসকদলের পুর প্রশাসকের মুখে শুনে পালটা আক্রমণ শানায় বিজেপি।
এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, চিঠি লিখে মোটেও ঠিক কাজ করেননি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ব্যাপারটা কথা বলে মিটিয়ে নেওয়া উচিত ছিল।
পালটা জিতেনবাবু জানান, চিঠি তিনি ফাঁস করেননি। গোপন চিঠি ফাঁস করেছেন ফিরহাদই। তিনিই সবাইকে দল থেকে তাড়িয়ে একা ক্ষমতা ভোগের চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যের যাবতীয় উন্নয়নের টাকা কেন শুধুমাত্র বরাদ্দ হয় কলকাতা ও বিধাননগরের জন্য? কেন বড় প্রকল্প পায় না আসানসোল বা অন্য বড় শহরগুলি?
জল বহুদূর গড়াচ্ছে দেখে তৎপর হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে জিতেন তিওয়ারির সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকে থাকার কথা প্রশান্ত কিশোরেরও।
ফিরহাদ জানিয়েছেন, সোমবার তিন বার জিতেনবাবুকে ফোন করেছেন তিনি কিন্তু সেই ফোন ধরেননি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সোমবার সকালে জিতেনবাবু জানান, গতকাল অরূপ বিশ্বাস ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা ব্যাপারটা কথা বলে মিটিয়ে নিতে বলেছেন।
মঙ্গলবারের বৈঠকে কি যোগ দেবেন তিনি? সকালে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ’১৮ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ মিনিট সময় দেবেন বলেছেন। ফলে আজ যাওয়ার দরকার রয়েছে না ম্যাডামের সঙ্গে কথা বললেই হবে সেটা জেনে কলকাতা যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।’