কল্যাণী এইমসে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তার পরই রাজ্য সরকারকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘প্রমাণ করুক টাকার বিনিময়ে কাউকে চাকরি দিয়েছি, রাজনীতি ছেড়ে দেব।’
এদিন জগন্নাথবাবু বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশে এই অভিযোগ করানো হয়েছে। সিআইডিকে দিয়ে যা খুশি তদন্ত করাতে পারে। এখানে কোনও দুর্নীতি হয়নি। এখানে কোনও টাকার খেলা হয়নি। কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি। দল – মত নির্বিশেষে চাকরি পেয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি’।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে কটাক্ষ করে জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দিতে পারলে আমি গর্ব বোধ করি। ভবিষ্যতে আমার প্রভাব বাড়লে আরও করব। আমরা যদি বাংলায় ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে প্রভাব খাটিয়ে দল মত নির্বিশেষে বেকার যুবক যুবতীদের চাকরির ব্যবস্থা করব। তৃণমূল তোলাবাজি - গুন্ডাবাজি করে সব কিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। বেকাররা চাকরি পাচ্ছে না। আসলে SSC-র দুর্নীতিকে ঢাকার জন্যই এই অভিযোগ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে প্রশাসনকে ব্যবহার করে করা হচ্ছে’।
জগন্নাথবাবুর ঘোষণা, ‘রেলের ১,৯০০ লোকো পাইলটের চাকরি আটকে ছিল। আমি চিঠি করে তার ব্যবস্থা করেছি। নিয়োগ চলছে। বাকিদেরও নিয়োগ হবে। আমি চাকরি দিয়েছি এই অভিযোগ যদি ওঠে আমি খুব খুশি। প্রমাণ করুক কাউকে বঞ্চিত করে অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছি। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব’।
কল্যাণী এইমসে অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ তুলে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ চিকিৎসক সুভাষ সরকার, কল্যাণী এইমসের ডিরেক্টর ও বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জনৈক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে বঞ্চিত করে অবৈধ উপায়ে অন্যদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। এই অভিযোগের সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।