তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। প্রার্থী বদল নিয়ে একাধিক দাবি জমা পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল ঠিকই। তবে এখন সব মিটে গিয়েছে। তারপর আজ, বুধবার দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নতুন কো-অর্ডিনেটর হলেন কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে কো–অর্ডিনেটরের পদ পেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা শওকত মোল্লাও। বুধবার এই কথা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কেন এমন দায়িত্ব পেলেন কুণাল? দলীয় সূত্রে খবর, পুরসভা নির্বাচনের মনোনয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ওই জেলায় সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাই তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে। দলনেত্রীর নির্দেশ কেন অমান্য করা হল? তা জানতে চেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা নেতৃ্ত্বের থেকে রিপোর্টও তলব করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, পুরসভা নির্বাচনের জন্য সব জেলায় কো–অর্ডিনেটর নিয়োগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথমে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার কো–অর্ডিনেটর পদে নিয়োগ করা হয়েছিল শুভাশিস চক্রবর্তী এবং অরূপ বিশ্বাসকে। কিন্তু বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার নতুন কো–অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পাচ্ছেন কুণাল ঘোষ এবং শওকত মোল্লা।
এখানে শুভাশিস চক্রবর্তী থাকছেন। তার সঙ্গে আরও দু’জন কো–অর্ডিনেটরকে নিয়ে আসা হল। কুনাল ঘোষ এবং শওকত মোল্লাকে। শুধু অরূপ বিশ্বাসকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার দায়িত্বে থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তিনি বর্ধমানের কো–অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পেলেন। এদিন সকালেই সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ পুরভোটের প্রার্থী নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি স্বীকার করে নেন, কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রার্থী নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল। সেই বিভ্রান্তি অনেকাংশেই মিটেছে।