এ যেন আরেক ভূবন বাদ্যকার। ভূবনের ‘কাঁচা বাদাম’–এর গান ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এবার আরেক ভূবনের খোঁজ মিলল। তবে তাঁর কারবার অবশ্য বাদাম বিক্রি করা নয়। জায়গায় জায়গায় ঘুরে মাছ বিক্রি করাই তাঁর পেশা। গান গাইতে গাইতে মাছ বিক্রি করে রীতিমতো জনপ্রিয় হয়েছেন দুর্গাপুরের ছেলে কুশল বাদ্যকার।
জানা গিয়েছে, কুশলের বাড়ি দুর্গাপুর পুরনিগমের ২ নম্বর ওয়ার্ডের শোভাপুর এলাকায়। বাবা সুবল বাদ্যকার একজন বেহালাশিল্পী ছিলেন। ঠাকুরদা নগেন্দ্রনাথ বাদ্যকার খোল বাজাতেন। বাড়িতে গান–বাজনার চল অনেকদিন ধরেই ছিল। ১০ বছর ধরে রেডিয়ো, টিভিতে গান শুনে গান শিখেছেন কুশল। এরপর নিজে থেকেই লোকগীতি শিখেছেন কুশল। লকডাউনের আগে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন কুশল। কিন্তু লকডাউনে সেই বেসরকারি সংস্থার কাজ চলে যায়। এরপর কী করবেন কিছুই ভেবে উঠতে পারছিলেন না। তখন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রি করা শুরু করেন কুশল। মাছ বিক্রি যাতে ভালোভাবে হয়, সেজন্য মানুষকে টানতে নানা রকমের গান বেঁধেছেন কুশল। কীভাবে মাছ রান্না করলে সুস্বাদু হয়ে উঠবে মাছ রান্না, এই সবই ধরা পড়েছে কুশলের গানে।
ইতিমধ্যে কুশলের ‘মাছ নেবেন দাদা, মাছ নেবেন’ গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাছ বিক্রি করেই স্ত্রী সুমিত্রাকে নিয়ে সংসার চালান কুশল। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ভূবন বাদ্যকারের গান যেমন সারা বাংলার মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে, তেমনি কুশলের গানও এখন দুর্গাপুরের মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে।