পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে রাস্তার গর্ত ভরাটে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে সরকারি মঞ্চে ব্যাপক ভাঙচুর হল নন্দীগ্রামে। সোমবার ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করে বিডিও সভাস্থল থেকে বেরোতেই ইট আর ঘেঁস দিয়ে রাস্তার গর্ত ভরাট হবে জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েত প্রধানের সামনেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন নীল-সাদা কাপড়ে মোড়া সরকারি মঞ্চ।
জানা গিয়েছে, সোমবার নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বয়াল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি রাস্তা সংস্কারের সূচনা হয়। সিঁদুরটিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে দীনবন্ধু প্রধানের চেম্বার পর্যন্ত রাস্তাটির পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে সংস্কারের কাজের সূচনা করেন বিডিও সুরজিৎ রায়। হাজির ছিলেন শ্যামা মাইতি-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে ওই রাস্তা পিচ দিয়ে নয়, ইঁট আর ঘেঁষ দিয়ে গর্ত ভরাট করা হবে, একথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই মঞ্চ ভাঙচুর শুরু করেন তাঁরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাস্তাটিকে পাকা করার দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানানো হচ্ছে। কিন্তু পঞ্চায়েত সেকথা কানে তোলেনি। ঘেঁষ দিয়ে রাস্তা ভরাট করে কী হবে? এর বৃষ্টিতেই তো রাস্তা যে কে সেই।
স্থানীয়দের ক্ষোভের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তিনি বলেন, ‘অনেক বোঝালেও গ্রামবাসীরা বোঝেননি। আমার সামনেই মঞ্চ ভেঙে চুরমার করে দিল ওরা।’
তবে নন্দীগ্রামে বারবার গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ তৃণমূলের পক্ষে শুভ লক্ষ্মণ নয় বলে মনে করছেন দলেরই নেতারা। তৃণমূলের একাংশের মতে, নন্দীগ্রামে তৃণমূলের দখল কতটা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে সেখানে তৃণমূলের প্রতীক ছাড়াই শুভেন্দু অধিকারীকে মুখ করে প্রচার চলছে। আবার অনেক জায়গায় তৃণমূলের প্রতীকের পাশে দেখা যাচ্ছে না অধিকারীদের মুখ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে।