কয়েক মাস আগেই এসএসকেএম হাসপাতালে রোগী ভর্তি করাতে না পেরে দালালরাজের অভিযোগ তুলে কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। আর এবার ফের দালাল রাজের অভিযোগ তুলে কামারহাটির সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে হুমকি দিলেন মদন। দালাল রাজের খপ্পরে পড়ে মদন মিত্রের এক পরিচিতের মৃত্যু হয়েছিল কয়েকদিন আগে। তা নিয়ে মঙ্গলবার কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন বিধায়ক। সেই সময় অধ্যক্ষকে দফতরে দেখতে না পেয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ মদন মিত্র। তখনই তিনি অধ্যক্ষকে ফোন করে হুমকির সুরে কথা বলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও অধ্যক্ষ পার্থ প্রতিপ্রধান এটিকে হুমকি বলে মানতে নারাজ। তিনি জানান, মদন মিত্রের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের পরিচয়। তাঁর সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেবেন।
আরও পড়ুন: সাগর দত্ত হাসপাতালে চলছে দালালরাজ, অভিযোগ তুলে সরব হলেন মদন মিত্র
জানা গিয়েছে, এদিন অধ্যক্ষ না থাকায় মদন ফোনে জানতে চান কেন তিনি অফিস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন? দালালরাজ চলা সত্ত্বেও কেন অধ্যক্ষ থানায় সুয়োমটো ডায়েরি করেননি? তা নিয়ে প্রশ্ন করেন মদন। শুধু তাই নয় তিনি আর বলেন, ‘এনআরএস, আরজিকরে ওসব হয়ে থাকে। ওখানে সব চুড়ি পরে বসে থাকে। তবে এটা কামারহাটি এখানে ওসব হতে দেব না।’ এদিন মদন মিত্রের সঙ্গে ছিলেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। এছাড়াও বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর তাঁর সঙ্গে ছিলেন।উল্লেখ্য, মদন যখন অধ্যক্ষকে ফোন করেছিলেন সেই সময় তিনি স্বাস্থ্য ভবনে বিশেষ কাজে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মদন মিত্র অধ্যক্ষকে হুমকির সুরে কথা বললেও এর আগেও রোগীদের উপর জুলুম বা মুমূর্ষু রোগীকে ভর্তি না নেওয়া নিয়ে ক্ষোভ ফেটে পড়তে দেখা গিয়েছে মদন মিত্রকে। মাসখানেক আগে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীকে ভর্তি করানো নিয়ে তুলকালাম বাঁধিয়ে ছিলেন মদন মিত্র। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিয়েছিলেনম পরে কুণাল ঘোষ মদনকে ঠান্ডা করেছিলেন। আর এবার তার নিজের কেন্দ্র কামারটিতে দালাল রাজের অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন মদন মিত্র।
জানা যায়, কয়েকদিন আগে দালাল রাজের খপ্পরে পড়ে মদন মিত্রের এক পরিচিতের মৃত্যু হয়েছিল। সেই খবর পেয়ে রাতেই তিনি ছুটে গিয়েছিলেন কামারহাটি হাসপাতালে। তখন তিনি ব্যবস্থা বলেছিলেন কর্তৃপক্ষকে।সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কোনওরকমভাবে দালাল চক্র বরদাস্ত করা হবে না। বিধায়কের হুঁশিয়ারির পরে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে অভিযুক্তদের ছবি দিয়ে পোস্টার দেওয়া হয়। এরপরে রোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এক দালালকে গ্রেফতার করে।