ছাত্র জীবনের বড় পরীক্ষা হল মাধ্যমিক। আর সেই পরীক্ষায় পাশ করতে না পারায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক ছাত্রী। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের মির্দা গ্রামের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। এখনও ওই ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম মুন্নি খাতুন। সে চোপড়া গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। জামাল উদ্দিন নামে তার এক আত্মীয় জানান, গতকাল মাধ্যমিকের রেজাল্ট পেয়ে বাড়ি ফেরার পর থেকেই মন খারাপ ছিল মুন্নির। সে বাড়িতে কারও সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলেনি। এরপরে ঘরের দরজা বন্ধ করে কীটনাশক খেয়ে নেয়। বিষয়টি বুঝতে পারে পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে দরজা ভেঙে মুন্নিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রথমে তাকে দোলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পরে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় ওই ছাত্রীকে।
অন্যদিকে, মাধ্যমিকে পাশ করতে না পারায় গতকাল আত্মঘাতী হয়েছে নদিয়ার ফুলিয়ার প্রফুল্ল নগর গ্রামের এক ছাত্রী। অনলাইনে পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার পরে আর বাড়ি ফেরেনি ফুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী মেঘা সরকার। পরে রেললাইন থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খুব কষ্টে সংসার চলত মেঘাদের। আর্থিক সমস্যার মধ্যেও তার স্বপ্ন ছিল মাধ্যমিকে পাশ করা। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই ছাত্রী।