ফের রাজ্যে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এবার অভিযুক্ত কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার একটি নার্সিংহোম। অভিযোগ, পিত্তথলিতে পাথর জমার সমস্যা নিয়ে ভর্তি এক ব্যক্তিকে তিন দিন বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর হাসপাতালের ICU-তে ভাঙচুর চালান রোগীর আত্মীয়রা।
সন্তোষ যাদব (৩৯) নামে ওই প্রৌঢ়ের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার পিত্তথলিতে পাথর জমার সমস্যা নিয়ে মহেশতলার বদ্যিরবাদ এলাকার নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল রোগীকে। তার পর থেকে তাঁর কোনও চিকিৎসা করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উলটে জানানো হয়, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসা হলে খরচ কম পড়বে। সেজন্য নথিপত্র হাসপাতালে জমা দেয় সন্তোষবাবুর পরিবার।
বুধবার রাতে হঠাৎ হাসপাতালের তরফে ফোন করে জানানো হয় রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান রোগীর পরিজনরা। সেখানে দেখেন, ICU-তে নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সন্তোষবাবু। তাঁর মৃত্যু হয়েছে কি না সেব্যাপারেও নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে চায়নি কর্তৃপক্ষ। এর পর উত্তেজিত রোগীর আত্মীয়রা ICU ভাঙচুর শুরু করে। তার পর হাসপাতালের তরফে জানানো হয় রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রোগীর পরিবারের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই। ICU-র অধিকাংশ যন্ত্র কাজ করে না। তাই রোগী ভর্তি নিয়েও চিকিৎসা শুরু করতে পারেনি তারা। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মহেশতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাসপাতালের সামনে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। পরিবারের দাবি, নার্সিংহোমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাবেন তাঁরা।