চাঁচল থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে জনবহুল বাজারে ভরসন্ধ্যায় সোনার দোকানে ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বন্দুক হাতে নিয়ে সোনার দোকানে ঢুকে সেখানে থাকা গয়না এবং নগদ টাকা ফাঁকা করে দিয়ে গিয়েছে ডাকাতরা। আগ্নেয়াস্ত্র দেখে ভয় পেয়ে যান দোকানের কর্মীরা থেকে মালিক। সেই সুযোগে একের পর এক গয়না সাফ করে দেয় ডাকাতরা। এমনকী এই ডাকাতি করার সময় চলল গুলিও। সোমবার ভরসন্ধ্যায় এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল মালদার চাঁচলে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল আমজনতা। পুলিশের গাড়ি ঘিরে চলল বিক্ষোভ।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সোমবার সন্ধ্যাবেলায় চাঁচলে একটি বড় গয়নার দোকানে আসে দুটো মোটরবাইক–সহ ডাকাতরা। মোট পাঁচজন ডাকাত সোনার দোকানে জড়ো হয়। মোটরবাইক থেকে নেমেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তারা গয়নার দোকানে সটান ঢুকে পড়ে। তারপর গয়নার দোকানের কয়েকজন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গোটা দোকানে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দু’একজনের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে আঘাত করা ডাকাতরা। তাতে রক্তারক্তি কাণ্ড বেঁধে যায়। তারপরই নির্দেশ দেওয়া হয়—’সব বাক্স থেকে গয়না বের করে এখানে রেখে দে। না হলে প্রাণ চলে যাবে।’ ভয়ে দোকানের কর্মীদের সব গয়না বের করে দেয়। তারপর সব গয়না ব্যাগে ভরে নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
অন্যদিকে ডাকাতদের ধরার আওয়াজ তুলতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের দিকে ছুটে আসে বুলেট। আর মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে যায় ডাকাতরা। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ অকুস্থলে হাজির হয়। তখনই পুলিশকে ঘিরে ধরে উত্তেজিত জনতা। পুলিশের ভ্যান ঘিরে চলে তুমুল বিক্ষোভ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তুমুল ক্ষোভ উগরে দেন। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তা কোথায়? প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। পুলিশ আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে। তারপর দোকানে ঢুকে নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। দ্রুত ডাকাতদলকে ধরা হবে আশ্বাস দেওয়ায় ক্ষোভ থামে। স্থানীয় ব্যবসায়ী লাল্টু মুখোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে একটি গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কারণ তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন।
আরও পড়ুন: টেট পরীক্ষায় মোবাইল নিয়ে ঢোকায় গ্রেফতার দুই বন্ধু, মালদায় পুলিশের জালে তিন
এছাড়া কয়েকজন ব্যবসায়ী পুলিশকে বয়ান দেন। তাঁদের কথায়, ‘পাঁচজন দুটো মোটরবাইকে করে আসে। তাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ছিল। তারা দোকানে ঢুকেই বন্দুকের বাঁট দিয়ে দু’একজন কর্মীদের মাথায় আঘাত করে। তাতে দোকানেই রক্তপাত হয়। আর দোকানে থাকা সব গয়না ও নগদ টাকা ব্যাগে ভরে ফেলে। ওদের ধরবার আওয়াজ তুলতেই একটি গুলি ছোড়ে আমার দিকে। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। পুলিশের কোনও সহযোগিতা মেলে না।’