মূক ও বধির নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূলি পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই

তদন্তে নেমে মাসুমের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। তাঁকে হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কারা যুক্ত জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।

প্রতীকী ছবি

মূক ও বধির নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই। ঘটনা মালদার মোথাবাড়ি থানা এলাকার। ধৃত মাসুম শেখ মালদার পুরন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ভাই। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকারই বাসিন্দা এক মূক ও বধির নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ মে বাড়ি থেকে কাকার বাড়ি যাচ্ছিলেন নাবালিকা। পথে শুনশান জায়গায় তাঁকে অপহরণ করে মাসুম শেখ। মুখে গামছা বেঁধে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তুলে নিয়ে যায় তাঁকে। সেখানে নাবালিকাকে দফায় দফায় ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। এর পর সেখানেই তাঁকে ফেলে পালায়। কোনওক্রমে বাড়ি ফেরে নাবালিকা। এর পর পরিবারের সদস্যদের সাংকেতিক ভাষায় ঘটনার কথা জানান তিনি। সেদিনই মোথাবাড়ি থানায় মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার।

তদন্তে নেমে মাসুমের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। তাঁকে হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কারা যুক্ত জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।

এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন জেলা বিজেপি সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি। তিনি বলেন, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নন। তাঁরই দলের পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই মূক ও বধির নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে। ওদিকে মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক সভায় বড় বড় কথা বলে বেড়াচ্ছেন। তৃণমূলের প্রশ্রয়েই দুষ্কৃতীরা আজ ভয়হীন।

পালটা জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি শুভময় বসু বলেন, ‘দল এদের পাশে থাকবে না। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’