দলবদল করে প্রথম সভাতেই পুরনো দলের নেত্রীকে শক্তিশেলে বিঁধলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে দলীয় জনসভা থেকে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। এই প্রথম সরাসরি মমতাকে আক্রমণ করলেন তিনি। আর মুখ খুলেই কার ‘দমে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তা নিয়ে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাজকর্মের তুমুল সমালোচনা কেন শুভেন্দু বলেন, ‘সব চাকরিগুলো তুলে দিয়েছে। ১৪ সাল থেকে SSC বন্ধ। টেটের কেলেঙ্কারি। গোটা বাংলায় আজকে ২ কোটি বেকার। সাড়ে ৯ বছর পরে যমের দুয়ারে সরকার’।
রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘একটা ফর্ম, ফিল আপ করে জমা দেবেন, জানুয়ারি পর্যন্ত এই নাটক চলবে। ফেব্রুয়ারি মাসে হাতে একটা কার্ড পাবেন। কিন্তু টাকা পাবেন না। তাই তো বলি আয়ুষ্মান ভারত পেতে হলে BJP চাই। কৃষকদের ৬,০০০ টাকা করে পেতে হলে বিজেপি চাই। রাজ্যে শিল্প নেই, অন্ধকার। এই রাজ্যে পরিবর্তন দরকার’।
এর পরই সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস কোম্পানিকে বলবো, তার নেত্রীকে বলবো, নিজের দমে যদি মুখ্যমন্ত্রী হতেন তাহলে ২০০১ সালেই হয়ে যেতেন। নন্দীগ্রামের ওই শবদেহগুলোর ওপরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আজ যে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল করেছেন সেই কংগ্রেসের হাত ধরতে হয়েছিল ২০১১-য়। আর বিজেপি নেতারা বলেছিলেন, তোমরা পারলে পদ্মফুলে দেও। নইলে তৃণমূলে দেও। কারণ এই অত্যাচারী কমিউনিস্ট রাজ খতম হওয়া দরকার’।
দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করলেও দলনেত্রীকে নিয়ে মুখ খোলেননি শুভেন্দু। বরং তাঁর নিশানায় ছিল ভাইপো। এবার একেবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ‘দম’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি।