নন্দীগ্রামে যখন বিদ্রোহের সুর সপ্তমে চড়িয়েছেন শুভেন্দু তখনই তাঁকে প্রশংসায় ভরালেন বিজেপি সাংসদ তথা BJYM রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। শুভেন্দুকে ফের বিজেপিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে এদিন তাঁর দাবি, শুভেন্দুর থেকে নন্দীগ্রাম আন্দোলন হাইজ্যাক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘নন্দীগ্রামে তৃণমূল কোনও আন্দোলন করেনি। আন্দোলন করেছে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। তাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে আন্দোলনের রাশ হাইজ্যাক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
সঙ্গে শুভেন্দুকে ফের বিজেপিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে সৌমিত্র বলেন, ‘দাদার প্রতি ভাইয়ের বার্তা। বিহার ভোটের ফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। আর দেরি করা ঠিক নয়। দেরি করলে পিছিয়ে পড়তে হবে। লোহা গরম থাকতে থাকতে তাতে হাতুড়ি মারা উচিত।’
বলে রাখি, মঙ্গলবার সকালে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর স্কুল মাঠের সভা থেকে তৃণমূলের নাম না নিয়ে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বুঝিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের পাট চুকেছে। তবে নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে এদিনও কিছু খোলসা করেননি তিনি।
ওদিকে শুভেন্দুকে নিয়ে ধীরে চলো নীতিতে খেলছে বিজেপি। একদিকে যেমন যুব নেতারা শুভেন্দুকে দলে আহ্বান জানাচ্ছেন তেমনই, ‘এলে ভেবে দেখব’ বলে নিজেদের দাম বাড়াচ্ছেন দিলীপ ঘোষের মতো অপেক্ষাকৃত প্রবীণরা।