শিশুকন্যার যৌনাঙ্গে হাত দেওয়ার প্রতিবাদ। আর সেই প্রতিবাদকে ঘিরে দুই পরিবারের মধ্যে হাতাহাতির জেরে খুন হলেন এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ভাইপোর হাতে ওই ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।ঘটনাটি ঘটেছে স্বরূপনগরে। এছাড়াও নির্যাতিতা শিশুর বাবা সহ ৩ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ভর্তির করা হয়েছে হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ উত্তরপ্রদেশে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর আত্মঘাতী ৬০ বছরের বৃদ্ধ
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, এলাকারই এক শিশু কন্যার যৌনাঙ্গ স্পর্শ করার অভিযোগ উঠেছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। শিশুর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পরিবারে সদস্যরা। এরপর নির্যাতিতা শিশুর পরিবারের সদস্যরা ওই যুবকের বাড়িতে চড়াও হয়। সেখানে গিয়ে অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের সদস্যদের তারা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এর ফলে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল মারপিট বেঁধে যায়। ঘটনায় ৪ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে স্বরূপনগর শাঁড়াপুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা বছর ষাটের ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে আহত বাকি ৩ জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় স্থানীয় থানার পুলিশ। সেক্ষেত্রে পুলিশ উভয় পক্ষের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য জানার চেষ্টা করে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দুই পরিবারের সদস্যের হাতাহাতিতে নির্যাতিতা শিশুর বাবাও গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনিও হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, এই ঘটনার পর যাতে ঝামেলা না হয় তার জন্য তিনি আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, যুবকের পরিবারের লোকেরা তাদের ওপর চড়াও হয় মারধর করে। এলাকার অন্যান্য স্থানীয়রা সেখানে পৌঁছে দুই পরিবারের মারপিট থামায়। সেক্ষেত্রে নির্যাতিতা শিশুর পরিবার, এই ঘটনায় থানার দারস্ত হতে পারেন। অন্যদিকে, মৃতের পরিবারের তরফেও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।