মাঠের পাশে পড়ে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার দিস্তা দিস্তা পাস বই আর এটিএম কার্ড! রাজ্য জোড়া দুর্নীতির আবহে এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার সগড়ভাঙা এলাকার কে ব্লক হাউসিং এর মাঠে।
শনিবার সকালে সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বহু পাস বই সঙ্গে এটিএম কার্ড পড়ে থাকতে দেখান স্থানীয়রা। এত পাস বই আর এটিএম কার্ড থাকতে দেখে চোখ কপালে উঠে স্থানীয়দের। পাতা উল্টে দেখতে পান প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার পাস বই। জানাজানি হতেই এলাকাবাসীদের ভিড়ও জমে যায়। কোথা থেকে এলো প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার এত পাস বই? স্থানীয়দের মনে জাগে সেই প্রশ্নও।
আরও পড়ুন: পুলিশ বলেছিল কোনও অভিযোগ নেই, সেই উত্তম সরদারকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করল TMC
স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ ঘটক ঘটক বলেন, তিনি বাজারে যাচ্ছিলেন। তখনই মাঠের পাশে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার পাস বই আর এটিএম কার্ডগুলি পড়ে থাকতে দেখেন। এলাকার মানুষদেরও বিষয়টি জানান। তাঁরা দেখেন, এই পাস বইগুলি বিধাননগর, সগড়ভাঙা কলোনি আর গোপীনাথপুর এলাকার কিছু বাসিন্দার। বইগুলি আপডেটও করা আছে। আবার এটিএম কার্ড গুলির মেয়াদ ২০২৪ পর্যন্ত রয়েছে।
তাঁদের আশঙ্কা, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার বই সাধারণ মানুষ খুলেছিলেন। কিন্তু সেই একাউন্টের পাস বইগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। এর পিছনে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজের টাকা সরাতে TMCর সঙ্গে হাত মিলাইনি, তাই বাড়িতে হামলা
এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের একাউন্টে দুর্নীতির টাকা বদলের চক্রান্ত হয়েছিল বলে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা বিজেপিকে কটাক্ষ করে দুর্গাপুরের তিন নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি আশিস কেশ বলেন, মাঠের পাশে পাস বই আর এটিএম কার্ড পড়ে আছে এলাকার মানুষের খবর পাওয়ার আগেই বিজেপির নেতারা খবর পেয়ে যাচ্ছে। এই পাস বই আর এটিএম কার্ড পড়ে থাকার পিছনে বিজেপির যোগসাজশ রয়েছে। সামনে লোকসভা নির্বাচন সেই জন্যই মানুষকে বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি বলেও কটাক্ষ করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় কোকওভেন থানার পুলিশ। পুলিশ বস্তায় ভরে নিয়ে যায় পড়ে থাকা পাস বই আর এটিএম কার্ডগুলি। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্তে নেমেছে কোকওভেন থানার পুলিশ। যদিও এসবিআই সূত্রে খবর, এই পাস বই আর এটিএম কার্ডগুলি বাতিল এবং অনেক গ্রাহককে তাদের ঠিকানায় খুঁজেই পাওয়া যায়নি।