আশঙ্কায় সত্যি হল। বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে সম্পূর্ণভাবে পাথর তোলার কাজ বন্ধ হল পাচামি সহ বীরভূম জেলার বিভিন্ন পাথর খাদানে। যার ফলে পুজোর আগেই কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় এক লক্ষ মানুষ। গত ২০ অগস্ট বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় সমস্ত খাদান এবং ক্র্যাশার মালিকদের ডেকে পাঠিয়ে ছিলেন । সেখানে তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে বৈধ কাজপত্র বানিয়ে ব্যবসা চালাতে হবে। পরিবেশ দফতরের অনুমতি না মিললে ১ সেপ্টেম্বর থেকে এগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সে মতোই পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র না মেলায় আজ থেকে বন্ধ হয়ে গেল বহু পাথর খাদান ও পাথর ক্র্যাশার।
আজাদ আলি নামে এক পাথর খাদান ও পাথর ক্র্যাশারের মালিক জানান, ‘পরিবেশগত ছাড়পত্র আমরা রাজ্যের কাছ থেকে এখনও পায়নি। যার ফলে পাথর খাদান চালু রাখলে আমাদের গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে আমাদের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে পাথর খাদানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাড়পত্র পেলে তবে আবার আমরা এই সমস্ত পাথর খাদান ও ক্র্যাশার পুনরায় চালু করতে পারব।’ এগুলি বন্ধ থাকার ফলে শ্রমিক মালিক মিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন।
কর্মহীন হয়ে যাওয়াই চিন্তায় পড়েছেন সেখানকার কর্মরত শ্রমিকেরা। তারা জানাচ্ছেন, তারা দিন মজুরির কাজ করে সংসার চালান। রোজ পাথর খাদানে কাজ করে যে টাকা আয় হয় তাতেই তাদের সংসার চলে। কিন্তু, এগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা কীভাবে সংসার চালাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। অন্যান্য দিনে এই সময় হাজার হাজার মানুষের সমাগম থাকে মহম্মদ বাজার ব্লকের অন্তর্গত পাঁচামীতে। কিন্তু, আজ উল্টোছবি দেখা যায়।
বীরভূম জেলা পাথর ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের আগে বীরভূমের প্রায় ২১৭ টি পাথর খাদান ছিল বৈধ। কিন্তু পরিবেশ দূষণের কারণ দেখিয়ে মামলা রুজু হয়। নতুন করে জারি করা হয় সার্কুলার। এরপর অবৈধ হয়ে যায় সমস্ত খাদান। ২১৭টি খাদানের মধ্যে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে মাত্র ৬টি খাদানের।