এতদিন দূর থেকে একে অপরকে আক্রমণ করতেন। এবার লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার আগে অধীর দূর্গে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা কেন্দ্র বহরমপুর। যেখান থেকে পাঁচবার জিতে এসেছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। আর সেখানে দাঁড়িয়ে অধীররঞ্জন চৌধুরী যিনি এবারও প্রার্থী তাঁকে বিজেপির এজেন্ট বলে তোপ দাগলেন অভিষেক। একইসঙ্গে ইউসুফ পাঠানকে পাশে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার থেকে জানিয়ে দিলেন অধীর চৌধুরী এবার হারবে। আজ বুধবার বহরমপুরের প্রচার থেকে অভিষেকের বক্তব্যে ছত্রে ছত্রে উঠে এল অধীরের সমালোচনা।
এদিনের সভা থেকে অভিষেক প্রমাণ দেন যে, অধীর চৌধুরী আসলে বিজেপির এজেন্ট। এমনকী অধীরকে ‘বিজেপির ডামি ক্যানডিডেট’ বলেও তোপ দেগেছেন অভিষেক। এখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অধীর চৌধুরী আপনাদের বিশ্বাসকে ঠকিয়েছেন। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে পাশে বসিয়ে বলছে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে হবে, বাংলায় সেদিন অধীর চৌধুরী বলছেন মহম্মদ সেলিমকে পাশে বসিয়ে, যে তৃণমূলকে হঠাও। যিনি বলছেন তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার চেয়ে ভাল বিজেপিকে ভোট দেওয়া। তাই এখন সিপিএমের করা সাঁইবাড়ির রক্তমাখা ভাত খাচ্ছেন অধীর চৌধুরী।’
আরও পড়ুন: আইএসএফের ডেরায় ঢুকে মানুষের মন জয় করলেন সৃজন, বাক্যবাণ সহ্য করে বার্তা, ‘আমি আছি’
এখানেই শেষ নয়, অধীরকে পর পর বাণে বিদ্ধ করেন অভিষেক। তবে এবার অধীর চৌধুরী হারছেন বলে ভবিষ্যদ্বানী করে গেলেন অভিষেক। কিছুদিন আগে অধীর চৌধুরী অবশ্য বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে তিনি যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে হারেন তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। সেখানে আজ অভিষেকের বক্তব্য, ‘উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছেন এখানে এসে লড়তে। কোনওদিন বিজেপির কোনও নেতাকে বলেছেন এখানে এসে দাঁড়ান। অধীর চৌধুরী হচ্ছে বিজেপির ডামি ক্যান্ডিডেট। অধীর চৌধুরী নিজেও বিজেপিকে ভোট দেবেন। তৃণমূলকে দেবেন না বা কংগ্রেসকে দেবেন না। আমি আরও একটা ভবিষ্যদ্বাণী করে যাচ্ছি, অধীর চৌধুরী এখানে তিন নম্বর হবেন। এখানে লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির।’
অধীর আর বিজেপির যে সেটিং আছে সেটাও তুলে ধরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইউসুফ পাঠান কথা দিয়েছেন জয়ী হওয়ার পর এখানে পড়ে থাকবেন। আর সংসদে গিয়ে মানুষের আওয়াজ তুলে ধরবেন বলে জানান অভিষেক। আর বিজেপির সঙ্গে অধীরের ‘সেটিং’ নিয়ে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘অধীর চৌধুরীর নামে সুদীপ্ত সেন লিখিত বয়ান দিয়েছেন টাকা নেওয়ার। একবারও নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি, সিবিআই। তাহলে সেটিংটা কার? এখানে একমাত্র ইন্ডিয়ার জোট হয়নি তার কারণ অধীর চৌধুরী। এখন ক্ষেপে গিয়ে হারবে বুঝতে পেরে কাউকে তেড়ে যাচ্ছেন, কাউকে মারছেন, কারও হাত মচকে দিচ্ছেন। তাই বলছি অধীরবাবু আপনি শান্ত হোন। সম্মানের সঙ্গে হারুন। এসব করলে আরও ভোট কমবে।’