বিরোধী ৪ জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের সেই কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের দখল নিল বিরোধীরাই। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সেখানে কড়া নিরাপত্তায় বোর্ড গঠন হয়।
মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে ১৫টি আসন। তার মধ্যে ৬টি আসন জিতেছে বিজেপি, ৪টি তৃণমূল, ৩টি সিপিএম ও ২ জন নির্দল। বিরোধীদের দাবি, ফলপ্রকাশের পর থেকেই তাদের তৃণমূলে যোগদানের জন্য বারবার শাসাচ্ছিলেন, প্রলোভন দিচ্ছিলেন বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে কলকাতা লাগোয়া পঞ্চসায়রে একটি ঘর ভাড়া করে ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, গত ১৮ জুলাই রাতে সেখানে হানা দেয় পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর গুন্ডাবাহিনী। ভাড়া বাড়ি থেকে ৩ বিজেপি ও সিপিএমের ১ জন জয়ী প্রার্থীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় তারা। ২ দিন ধরে এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল চলার পর গত ৩০ জুলাই সকালে হঠাৎ বাড়ি ফিরে আসেন প্রত্যেকে। এর পর তাঁরা জানান, বন্দুক দেখিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের গেস্ট হাউজে আটকে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে পুলিশ এসে তাদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
বিষয়টি জানিয়ে আদালতে মামলা করে নিরাপত্তা চান বিরোধী জয়ী প্রার্থীরা। আদালত প্রত্যেককে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। অভিযোগ, তার পরও তাঁরা নিরাপত্তা পাননি।
বৃহস্পতিবার কৃষ্ণচন্দ্রপুরে বোর্ড গঠন ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছিল। বোর্ড গঠন শেষে বেরিয়ে বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, আমরা গ্রামের মানুষকে নতুন কিছু দেওয়ার জন্য কাজ করব। আমরা সব সময় একজোট হয়েই থাকব।