করোনা থেকে বাঁচতে টিকা নিতে গিয়ে ধূপগুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে জখম হয়েছেন অনেকেই। একেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে গিয়েছে মঙ্গলবার। স্থানীয় সূত্রে খবর ধূপগুড়ির দুরামারি চন্দ্রকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের বাইরে ভোর থেকেই টিকা নেওয়ার জন্য লাইন পড়েছিল। এদিকে স্কুলের গেট খুলে দিতেই একেবারে হুড়মুড়িয়ে বাসিন্দারা স্কুলের ভেতর ঢুকে পড়েন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে কেন এভাবে আচমকা গেট খুলে দিয়ে এতজনকে বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হল? হুড়োহুড়ি, ঠেলাঠেলিতে বহু মহিলা মাটিতে পড়ে যান। কানের দুল ছিঁড়়ে গিয়ে একেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায়। প্রশাসনিক অব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
এদিকে বুধবার পানাগড়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কার্যত সেই ধূপগুড়ির ঘটনাই তুলে আনলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘সকলে টিকা পাবেন। কিন্তু হুড়োহুড়ি করে বা কারও কথা শুনে ঘাবড়াবেন না। আমাদের কাছে যা টিকা থাকবে তা সকলকে ভাগ করে দেব। আমরা শহর এলাকায় ৭৫ শতাংশ টিকা দিতে পেরেছি। একটু অপেক্ষা করুন। মাস্ক পরুন।’
এদিকে ধূপগুড়ির ঘটনার জেরে অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বানারহাট ব্লকের বিডিও প্রহ্লাদ বিশ্বাস ও ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ ঘোষকে ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছে। আপাতত ওই স্কুলে টিকা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যে সাতজন ভর্তি ছিলেন তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে জলপাইগুড়ি জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।