শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ২২ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে শুশানি পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ।
এর আগে একটি খুনের মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু উচ্চ আদালতে তাঁর আবেদন খারিজ করে। এর পর তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০২৮ সালে এক ব্যক্তিকে গুলি চালানার ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাম জড়ায়। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফাতির পরোয়ানাও জারি হয়। কিন্তু তিনি গ্রেফতার হননি।
শাসকদল এরই মধ্যে একাধিকবার নিশীথের গ্রেফতারির দাবি করে সরব হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহও মন্ত্রীর গ্রেফতারির দাবি করতে থাকেন। তিনি দিনহাটা থানা ঘেরাওয়ের ডাকও দেন। এই দাবিকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই কোচবিহারের রাজনৈতিক মহলে সরগরম রয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন সে ইঙ্গিত আগেই মিলছিলই। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশেই স্বস্তিতে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ।
গোসানিমারিতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য আবু মিঞা ২০১৮ সালে খুন হন। এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে নিশীথ প্রামাণিক শিবিরের দিকে। অভিযোগ ওঠে, আবুর উপর গুলি, ধারাল অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়। আবুর স্ত্রী তাঁকে বাঁচাতে এলে তাঁর উপরেও হামলার অভিযোগ ওঠে। আবুর ছেলে আসাদুল বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাঁর পায়েও গুলি লাগে। এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা।
এই ঘটনায় নিশীথ প্রামাণিক-সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। এই মামলায় তিনি হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের কাছে রক্ষা কবচ চান। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে। এবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে রক্ষাকবচ পেলেন নিশীথ।
শুক্রবার দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, হাইকোর্টে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নিশীথের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। সেই সঙ্গে বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তারা এখনই মামলার ভিতরের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে ইচ্ছুক নয়। তবে হাই কোর্টের কাছে শীর্ষ আদালতের আবেদন করে, উচ্চ আদালত যেন আগামী শুনানিতে সব দিক ভাল করে বিবেচনা করে এই মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয় ।