তাঁর দলবদল নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন বলে বারবার গুঞ্জন উঠলেও নিজে মুখে আজ পর্যন্ত এব্যাপারে একটা কথা বলেননি রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ক্রমশ তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছে বলে খবর আসে বিভিন্ন সূত্র থেকে। এবার সেই সমস্ত জল্পনায় জল ঢাললেন তিনি নিজে।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দুবাবুকে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, কেন তাঁকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না তৃণমূলের বৈঠকে বা সভায়। জবাবে শুভেন্দু বলেন, ফিজিক্যালি হয় তো না পেলেন, চার মাস পরে পেলেন, কিন্তু সেজন্য কোনও কাজ আটকে নেই। এখানে ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে না, একা শুভেন্দু না থাকলে অনেক নেতৃত্ব রয়েছে তারা সামলে নিতে পারবে। কারণ আমাদের দলে একজনই নেত্রী, তাঁর নাম মমতা ব্যানার্জি।
বলে রাখি, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই শুভেন্দুবাবুর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে প্রাধাণ্য দিচ্ছেন মমতা। যার ফলে শুভেন্দুর অগ্রগতি থমকে যাচ্ছে। তার ফলে তৃণমূলে থাকা ক্রমশ অসম্ভব হয়ে উঠছে শুভেন্দুর পক্ষে।
গত জুলাইতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল পরিচালনার জন্য যে ২১ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন তার সদস্য শুভেন্দু। কিন্তু কমিটির প্রথম বৈঠকেই যাননি তিনি। সরকারি ও দলের সভায় তাঁকে দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। সেজন্য শুভেন্দুকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে দল। এমাসেই শুভেন্দুর ভাই সাংসদ দিব্যেন্দুকে হলদিয়ায় ঠিকাদারদের সংগঠনের শীর্ষপদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। শুভেন্দুকে সরানো হয়েছে কর্মচারী সংগঠনের মেন্টর পদ থেকে। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীকে সরানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে।