এবার নাবালিকার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হল মালদার চাঁচল এলাকায়। আর এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু নলি কাটা ছিল এমন নয়। ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সুতরাং খুন করার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। মালদার চাঁচলের গৌরহণ্ড গ্রামে এখন এই ঘটনাই চর্চিত বিষয় হয়এ উঠেছে। তবে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে ধরে গণপিটুনি দেন গ্রামবাসীরা। তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে মালদায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে চাঁচল থানার গৌড়হণ্ড গ্রামে নাবালিকার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, এই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সন্ধ্যে নাগাদ সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল। তারপর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতের দিকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তবে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রামেরই এক যুবককে পাকড়াও করা হয়েছে। তাকে ধরে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিশ।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মালদার চাঁচলের গৌরহণ্ড গ্রামে নাবালিকার নলিকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে কে বা কারা খুন করেছে? তা এখনও জানা যায়নি। এক যুবককে গ্রামবাসীরা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তবে সেই যুবক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আহত যুবককে চিকিৎসার জন্য চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, এই নাবালিকার সঙ্গে যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই যুবকের ডাকেই নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল। তারপর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। সেটা বাধা দিতে চেয়েছিল নাবালিকা। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষণ করার পর গলার নলি কেটে খুন করা হয়। এই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, আর নাবালিকার দেহ উদ্ধার হওয়ায় গ্রামবাসীরা তাকে মারধর করেছে।