সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চুরি, ছিনতাই করার পদ্ধতিও বদলে ফেলছে দুষ্কৃতীরা। সম্প্রতি একটি চুরির ঘটনায় একটি আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের হদিস পেয়েছে পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাড়ি ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল সহ অন্যান্য জিনিস পত্র ছিনতাই করে বেড়াতো এক দুষ্কৃতী। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম আব্দুল রহমান। ঘটনাটি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার। ধৃতের কাছ থেকে একাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মর্নিং ওয়াকের সময় খোদ ডিআইজির ফোন ছিনতাই, চরম অস্বস্তিতে অসম পুলিশ
নরেন্দ্রপুর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি কর্পোরেট সংস্থার এক আধিকারিকের আইফোন চুরি হয়ে গিয়েছিল। তিনি নরেন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা। সেই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ঘটনার তদন্তে নেমে আন্তর্জাতিক মোবাইল চক্রের হাদিস পায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আইফোন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে নরেন্দ্রপুরের গ্রিন পার্কের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আদতে আব্দুল বারুইপুর থানার বৃন্দাখালির পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। তবে নরেন্দ্রপুরের গ্রিন পার্কে প্রায় দুমাস ধরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল সে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, বাসে, ট্রেনে মোবাইল ছিনতাই করে বেড়াতো আব্দুল। ছিনতাইয়ের সুবিধার জন্য সে নরেন্দ্রপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসা করে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের হাদিস পেয়েছে পুলিশ।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সে চুরি করা মোবাইল নিউমার্কেটে বিক্রি করত। সেখান থেকেই মোবাইল চলে যেত বাংলাদেশ। এই অবস্থায় ধৃতের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। বিশেষ করে সে কাদের মোবাইল বিক্রি করতো? সেখান থেকে কীভাবে মোবাইল বাংলাদেশে পাচার করা হতো? তা সবই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা বেশ কয়েকজনের জন্য নাম জানতে পেরেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুলের কাছ থেকে ৩৪টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে সোনারপুর জিআরপি কয়েকজন ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করেছিল। ধৃতেরা মূলত রিসিভারের কাজ করতো। সে ক্ষেত্রে পুলিশ জানতে পারে, যাত্রীদের মানিব্যাগ, মোবাইল স্টেশনের মধ্যে ছিনতাই করত কিছু ছিনতাইবাজ। এরপর তারা ছিনতাইয়ের সামগ্রী রিসিভারের হাতে তুলে দিত। সে ক্ষেত্রে রিসিভাররা স্টেশনের বাইরে অপেক্ষা করত। পরে তারা সেই সমস্ত সামগ্রী পৌঁছে দিত ঘুটিয়ারি শরীফে। এর জন্য তাদের দৈনিক ৭০০ টাকা করে মজুরি দেওয়া হতো।