তৃণমূলে দখলে থাকা আরামবাগ দিয়ে বাংলায় লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করবেন মোদী। আগামী ১ মার্চ আরামবাগ আসছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই বাংলায় প্রচারাভিযান শুরু করবেন তিনি। এর আগে বারাসতে তাঁর সভা করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আরামবাগ দিয়েই প্রচার শুরু করবেন।
এই কেন্দ্রটি বর্তমানে তৃণমূলের দখলে। আরামবাগের সাংসদ হলেন অপরূপা পোদ্দার। তার পাশে হুগলি বিজেপির দখলে। সেখানকার সাংসদ হলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে ওই আসনে প্রার্থী করা হবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও লকেটের দাবি, তাঁকে ওখানে প্রার্থী করা হবে। প্রার্থী ঘোষণা আগে দু-এক জায়গায় দেওয়াল লিখে ফেলেছেন লকেট। সেই হুগলি না বেছে আরামবাগ সভা করার জন্য বেছে নিয়েছেন মোদী।
বিজেপি সূত্রে খবর, আরামবাগের পর ২ তারিখ কৃষ্ণনগরে সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর আবার ৬ মার্চ বারাসতে সভা করবেন তিনি। অর্থাৎ এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার বাংলায় আসবেন মোদী।
আরও পড়ুন। 'বাংলায় বিষ ঢোকানো হচ্ছে', শুভেন্দুর 'কুকথা'র কোলাজ ভিডিয়ো দিয়ে লিখলেন অভিষেক
আরও পডুন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ শতাংশই পড়ুয়াই ফেল, বই দেখে লেখা যায়নি এবার!
মার্চ থেকেই জোরদার প্রচার
মার্চেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে কমিশন। এপ্রিলের গোড়ার দিকে হতে পারে। ভোট চাই মার্চের গোড়া থেকে প্রচার শুরু করে দিচ্ছে বিজেপি। দলী সূত্রে খবর প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েই এই প্রচারাভিযান শুরু করবে গেরুয়া শিবির। তারপর জেলা জেলায় প্রচার শুরু করবেন রাজ্যের নেতারা।
আরও পড়ুন। ভাঙড়ে তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত নওশাদের আগাম জামিন মঞ্জুর হাইকোর্টে
আরও পডুন। মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে বন্দিদের নিয়ে ছুটল পুলিশের গাড়ি, অভিযোগে উত্তাল সন্দেশখালি
সূত্রের খবর, ১ মার্চ আরামবাগে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২ মার্চ কৃষ্ণনগরে সভা করে তিনি দিল্লি ফিরে যাবেন। তবে এমনটাও হতে পারে, তিনি ১ তারিখ সভা করে বিমানে ফিরে গিয়ে ফের পরেরদিন আবার কৃষ্ণনগরে সভা করতে আসতে পারেন। এ নিয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ৬ তারিখ আবার দিল্লি থেকে এসে বারাসতে সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
৩৫ লক্ষ্য
২০১৯-এর নিবার্চনে ১৮ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। সেবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২২। এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৫। এই ৩৫ আসন পেতে মরিয়া বিজেপি। তাই প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে শুরু করা হচ্ছে প্রচার। রাজ্য আরও একাধিবার প্রচারে আসতে পারেন মোদী।