কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়েছিলেন। এবার বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দিলেন মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি তপন সিনহা। উল্লেখ্য, মুকুল রায় যেদিন বিজেপি ছেড়েছিলেন, সেদিনই দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তপনবাবু। কিন্তু সেদিন দলত্যাগ করলেও তিনি তৃণমূলে যোগদান করবেন কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিজের পুরনো দলেই ফিরে এলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ এই নেতা।
এলাকায় খুবই পরিচিত এই নেতার ফের পুরনো দলে যোগদান প্রসঙ্গে গোবরডাঙা শহর তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শংকর দত্ত বলেন, ‘যাঁরা এতদিন বিজেপি করছিলেন, তাঁরা দলটার ওপর হতাশ ও ক্ষুব্ধ। বিজেপির মিথ্যাচার, ভাঁওতাবাজিতে তাঁরা অতিষ্ঠ। তাই তাঁরা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে চান।প্রায় ৩০০ জন বিজেপি কর্মী এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন।’ জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় গোবরডাঙা টাউনহলে তৃণমূল কর্মীদের এক রাজনৈতিক সমাবেশ হয়েছিল। সেই সমাবেশে যোগ দেন মুকুল ঘনিষ্ঠ তপন সিনহা। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বর্ষীয়ান এই নেতার যোগদানের ফলে এলাকায় তৃণমূল সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে বিজেপির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তপন। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বনস্পতি দেবকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। ইস্তফা দিয়ে ক্ষোভের সুরেই তৃণমূলের এই নেতা জানিয়েছিলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই দলের হয়ে কোনও কাজ করতে পারছিলেন না। বিগত কয়েকদিন ধরে বিজেপির কোনও কর্মসূচির ব্যাপারে তাঁকে জানানো হচ্ছিল না বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন এলাকায় ‘খোটেদা’ বলে পরিচিত এই নেতা। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি আসনেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। কিন্তু তারপরেও কেন বিজেপিতে ভাঙন, তা নিয়েই এবার প্রশ্ন দেখা দিল।