পরকীয়া সম্পর্কের জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন বিধবা যুবতী। পরিকল্পনা করছিলেন গর্ভপাত করাবেন। কিন্তু প্রতিবেশীর বুদ্ধিতে সেই পরিকল্পনা বাদ দিয়ে বিক্রি করার জন্য সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তার পর সেই সন্তানকে বিক্রি করেন ২ লক্ষ টাকায়। এমনই অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় খেয়াদহ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা শুক্লা দাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শুক্লাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ বছর আগে শুক্লার স্বামী প্রয়াত হন। এর পর স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান তিনি। যার ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েন যুবতী। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি যখন গর্ভপাতের পরিকল্পনা করছিলেন তখন বিষয়টি তিনি জানান প্রতিবেশী শান্তি মণ্ডলকে। শান্তি মণ্ডল পেশায় একজন আয়া। তিনি শুক্লাকে গর্ভপাত না করিয়ে গোপনে সন্তানের জন্ম দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে কথা দেন। সঙ্গে সেই সন্তান বিক্রি করার ব্যবস্থাও করবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এর পর পঞ্চসায়র এলাকার বাসিন্দা নিঃসন্তান বধূ ঝুমা মাঝির সঙ্গে শুক্লার পরিচয় করিয়ে দেন শান্তি। শান্তির দেখভালেই সন্তানের জন্ম দেন শুক্লা। সন্তানের জন্ম দেওয়ার ১১ দিনের মাথায় ২ লক্ষ টাকার ঝুমাকে শিশুটি বিক্রি করে দেন শুক্লা।
বিষয়টি জানতে পেরে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম হালদার। তদন্তে নেমে শুক্লা, শান্তি, শান্তির স্বামী তাপস ও ঝুমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে শুক্লার দাবি, শিশুটিকে ভালো ভাবে মানুষ করতে ঝুমাকে দিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে কোনও টাকার লেনদেন নেই। ওদিকে পুলিশের দাবি, শান্তি ও তাঁর স্বামী তাপস শিশু বিক্রির দালাল।