বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > দাড়িভিটকাণ্ডে তদন্তে ইসলামপুরে NIA, গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল দুই ছাত্রের

দাড়িভিটকাণ্ডে তদন্তে ইসলামপুরে NIA, গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল দুই ছাত্রের

ইসলামপুরে এনআইএ টিম। 

এবার দাড়িভিটে পৌঁছে গেল এনআইএ টিম। দুই ছাত্রের মৃত্যুর তদন্তে ইসলামপুরে এনআইএ। 

উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিটে মৃত্যু হয়েছিল দুই ছাত্রের। এবার আদালতের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করল এনআইএ। শনিবার এনআইএর গোয়েন্দারা এলাকায় যান। মৃত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের স্কুল চত্বরে যান এনআইএ গোয়েন্দারা। তবে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি।সূত্রের খবর, তাঁরা সেই মৃত্যু নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন।

এদিন এলাকায় এনআইএ টিম পৌঁছতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে নতুন আশার সঞ্চার হতে শুরু করেছে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কেউ বিশেষ মুখ খুলতে চাননি।

এদিকে এনআইএ টিমের এই তদন্তকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়ে গিয়েছে নানা চর্চা। বিজেপির সহ সভাপতি বাসুদেব সরকার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, রাজেশ তাপসের পরিবার এতদিন পরে স্বস্তি পাবে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ওরাই আগে বলত পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়নি। এখন আবার অন্য় কথা বলছে। বিজেপির দ্বিমুখী চরিত্র, সেটাই এবার প্রমাণ হচ্ছে।

এদিকে এদিন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এনআইএর আধিকারিকরা। তাঁরা এক জখমের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন বলে খবর।

ঠিক কী হয়েছিল ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর?

দাড়িভিট হাইস্কুলে বাংলার বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল অভিভাবক ও পড়ুয়ারা। সেদিন গুলিতে মারা যান রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মন। অভিযোগ ওঠে পুলিশই সেদিন গুলি চালিয়েছিল। এরপর এনিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে ওঠে। তদন্তে নামে সিআইডি। কিন্তু সেই তদন্তে খুশি ছিল না পরিবার। এবার আদালতের নির্দেশে এনআইএ তদন্ত শুরু হয়ে গেল। নতুন আশায় বুক বাঁধছে মৃত ছাত্রের পরিবার।

এদিকে দাড়িভিট কাণ্ড কার্যত জেলার রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। প্রথম থেকে এই ছাত্র মৃত্য়ুর প্রতিবাদে যে আন্দোলন তার রাশ নিজের দিকে রেখেছিল বিজেপি। এমনকী রায়গঞ্জের তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী ওই দুই ছাত্রের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন। আবার প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন দিল্লিতে আমন্ত্রিত ছিল ওই দুই পরিবার।

সূত্রের খবর, এদিন ঘণ্টা দেড়েক এলাকায় ছিলেন এনআইএ গোয়েন্দারা। গাড়ি থেকে নেমে তাঁরা স্থানীয় এলাকায় যান। কিছু কথাবার্তা বলেছেন। তবে এনিয়ে মৃতের পরিবারের তরফেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। অন্যান্যরাও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

বন্ধ করুন