রাজ্যে এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজেছে। আর তার মধ্যেই মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনে নিজের বাড়িতে এলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এমনিতেই বিশ্বভারতীর সঙ্গে জমি নিয়ে জটিলতা চলছে। তার মধ্যে এখন বঙ্গে এসেছে বর্ষা। তাই তাঁর প্রতীচী বাড়িতে পা রাখতেই কালঘাম ছুটল বন দফতরের। কারণ বর্ষায় এখানে সাপের প্রচণ্ড উপদ্রব হয়। ফলে সেই সাপ কামড়ে দিতে পারে ভারতরত্ন অমর্ত্য সেনকে। এই আশঙ্কা থেকেই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাওয়া অমর্ত্য সেনের নিরাপত্তায় কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না প্রশাসন। তাই তিনি বাড়িতে ঢোকার প্রাক্কালেই সাপের খোঁজে জোর তল্লাশি চালাল বন দফতর।
তবে এবার অমর্ত্য সেনের উপস্থিতিতে আবার জমি নিয়ে বিশ্বভারতী সক্রিয় হয়ে উঠবে কিনা সেটা দেখার বিষয়। তবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ শান্তিনিকেতনে নিজের বাড়ি প্রতীচীতে যতদিন থাকবেন ততদিন এই বর্ষার মরশুমে রোজই সাপ খোঁজার কাজ চালিয়ে যাবে বন দফতর বলে সূত্রের খবর। জমি নিয়ে যখন ঝামেলা চলছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জন্য জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। তাই তাঁর শান্তিনিকেতনে আসার আগেই তৎপর হয়ে উঠল জেলা প্রশাসন।
এদিন দেখা গেল, কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে অমর্ত্য সেনের বাসভবন। সেখানে রাখা হয়েছে ফায়ার ব্রিগেড এবং মেডিক্যাল টিম। তবে প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে শান্তিনিকেতনের বিষধর সাপের উপদ্রব। এখানে বর্ষার সময় প্রায় রোজই দেখা যায় সবুজ ঘাসের বুক চিরে চলেছে বিষধর সাপরা। শান্তিনিকেতনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এলে সাপের তল্লাশিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে বন দফতর। এবার বর্ষাকালে অমর্ত্য সেন আসছেন জানতে পেরেই তৎপর হয় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। তারাই বনদফতরকে খবর দেয়। যাতে সাপের উপদ্রবের মধ্যে পড়তে না হয় নবতিপর অমর্ত্য সেনকে। তাই স্নেক ক্যাচার দিয়ে প্রতীচী বাড়িতে সাপের তল্লাশি চালান বনদফতরের কর্মীরা। যদিও সাপ খুঁজতে কালঘাম ছোটে বন দফতরের কর্মীদের।
আরও পড়ুন: আবার গুলি চলল দিনহাটায়, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর ভাই, গোসাবায় আক্রান্ত এক
কেন এমন উদ্যোগ বন দফতরের? একদিকে তিনি জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। তার উপর তিনি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। আবার প্রবীণ নাগরিকও। ভারতরত্ন পেয়েছেন তিনি। সুতরাং সম্মান ও নিরাপত্তার দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে থাকা বঙ্গসন্তান। তবে দীর্ঘদিন তিনি শান্তিনিকেতনের বাড়ি ছেড়ে বিদেশে ছিলেন। এখন তিনি ফিরে আসায় ফাঁকা বাড়িতে সাপ বাসা বেঁধেছে কিনা খতিয়ে দেখেন বন দফতরের কর্মীরা। তাঁর জমি বিতর্কের মামলা এখন সিউড়ি আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তাই সব মিলিয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে এমন উদ্যোগ নিয়েছে বন দফতর।