নদীয়া জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেছিলেন, এখান থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের উল্টোরথ যাত্রা শুরু হল। এই ঘটনার পাল্টা উত্তর দিনাজপুরের বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই উত্তর দিনাজপুর বিজেপির গড় বলা হয়। যদিও এখানকার বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এবার করণদিঘি এবং ইটাহারে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিজেপি নেতা–সহ শয়ে শয়ে কর্মী–সমর্থক।
রাজ্যে পুরসভা নির্বাচনের আগে এই ভাঙন বিজেপিকে চাপে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। করণদিঘির জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং বিধায়ক গৌতম পালের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন বিজেপির একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। ইটাহারেও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী। এই যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, বিপ্লব মিত্র এবং সাবিনা ইয়াসমিন।
বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেছিলেন, এই ঘটনায় দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু তার পরেই দেখা দেয়, উত্তর দিনাজপুর জেলায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বিজেপির সংগঠন। বিজেপির একের পর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যেরা যোগ দেওয়ায় সেগুলি হাতছাড়া হতে থাকে।
বিজেপি ছেড়ে আসা নেতা–কর্মী–সমর্থকদের দাবি, বিজেপিতে কাজ করা যাচ্ছিল না। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছেন। এদিন দলত্যাগী বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, সংগঠনের আজ যা অবস্থা তাতে এই দলে থেকে কোনও কাজ করা যাচ্ছিল না। মানুষের জন্য কাজ করতে তৃণমূল কংগ্রেসকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, ক্ষমতার লোভেই ওই নেতাকর্মীরা দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।