ডাইনোসরের জীবাশ্ম নাকি পুরুলিয়ায় পাওয়া গিয়েছে! এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই জন্তু বহু দশক আগে লুপ্ত হয়ে গিয়েছে বলে জানা যায়। সেখানে এত বছর পর জীবাশ্ম মেলায় কৌতূহল দেখা দিয়েছে গ্রামীণ মানুষজনের মধ্যে। পুরুলিয়ার ঝালদা ২ নম্বর ব্লকের চিতমু গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থি পাহাড়ে এই জীবাশ্ম দেখা গিয়েছে বলে খবর। ওখানের আনন্দমার্গীদের এই দাবিকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে পুরুলিয়া জেলায়। এই ডাইনোসর নিয়ে নানা কাহিনী আছে। এখন সেসব চর্চা শুরু হয়েছে জেলায়।
এদিকে বহু যুগ আগে ডাইনোসরের অস্তিত্ব ছিল পুরুলিয়ায় বলে কথিত আছে। তা প্রায় মানুষ ভুলেই গিয়েছিল। কারণ এসব বহু যুগ আগের কথা। আর যেখানে এই জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে সেই পাহাড়কে বলা হয় অস্থি পাহাড়। কারণ ডাইনোসরের হাড় দিয়েই তৈরি এই পাহাড় বলে পরিচিত। প্রাচীন মানুষজন তেমনই বলে থাকেন। কিন্তু পাহাড়ের চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে বিশালাকার জীবাশ্ম। এগুলির আকার বিশাল এবং সরীসৃপ জাতীয় মেরুদণ্ডী অবলুপ্ত ওই ডাইনোসরের লেজের অংশ বলে দাবি আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের। তাতেই আলোড়ন তুঙ্গে উঠেছে।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার আইএসএফ নেত্রী জুবি সাহা, সন্দেশখালি কাণ্ডে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ
অন্যদিকে ১৯৮০ দশকে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাতরঞ্জন সরকার পাহাড় চূড়ায় তপস্যা করার সময় সেখানের পাথর পরীক্ষা করে বলেছিলেন ডাইনোসরের অস্তিত্বের কথা। তারপরই জায়গা চিহ্নিত করা হয়। আর সেখানে এই ডাইনোসরের জীবাশ্ম বিষয়ে বড় বোর্ড বসানো হয়। আনন্দমার্গীরা এই পাহাড়ের জীবাশ্ম পরীক্ষা করার দাবি তোলেন। দীর্ঘ চার দশকে ওই ২০০ ফুট উঁচু পাহাড়ে ঘুরে এসেছেন প্রশাসনের অফিসাররা। এখান থেকে জীবাশ্ম নিয়ে এসে পুরুলিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চলছে।
এছাড়া এবার পাহাড়ের গায়ে বিশাল জীবাশ্মের দেখা মেলায় রহস্য দানা বেঁধেছে। ওই এলাকায় শাল জাতীয় বৃক্ষ, বড় জন্তুর কোমর, বাঘের মুখ, সিংহ জাতীয় জীবের পায়ের অংশের চিহ্ন মিলেছে আগেই। তাই এই পাহাড়ের ইতিহাস মানুষকে আরও আকর্ষন করে। উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে মানুষের মনে। আনন্দমার্গী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেরই দাবি, জীবাশ্ম পরীক্ষা করে আসল সত্য বেরিয়ে আসুক। এই বিষয়ে ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেছেন, ‘আমার কাছে এই বিষয়ে কোনও খবর নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে পরীক্ষা করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো’।