গরমের ছুটিতে দার্জিলিং যাচ্ছেন? কালিম্পংয়ে যাওয়ার প্ল্য়ান রয়েছে? সেক্ষেত্রে একবার পানবুদারা থেকে ঘুরে যেতে পারেন। কীসের জন্য পানবুদারার প্রতি এত আকর্ষণ?
৫৫০০ ফুট উচ্চতায় পানবুদারা। তবে বছরের সব সময়ই পানবুতে আসা যায়। গরমের ছুটিতে অনেকেই পানবুতে যান। কিন্তু এখানে একটা বিষয় বলে রাখা ভালো স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, গরমকালে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও অনেক সময় কাঞ্চন দর্শন হয় না। কারণ কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি মেঘের আস্তরণ থাকে। সেক্ষেত্রে বর্ষা চলে যাওয়ার পরে পানবুতে যেতে পারলে কাঞ্চন দর্শন একেবারে পাকা। তবে অক্টোবরে পুজোর সময় ভিড় যথেষ্ট থাকে। সেক্ষেত্রে নভেম্বরে যাওয়াাটাই ভালো। তবে গরমকালে গেলে কিন্তু মন্দ লাগবে না। কারণ এখানে তো গরম নেই।
দার্জিলিং বা গ্য়াংটক থেকে ফেরার পথে অনেকে একবার পানবুতে ঘুরে যান। আসলে পাহাড়ের অন্যান্য জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার যে রূপ দেখা যায় সেটা পানবুতে থেকে আরও বেশি সুন্দর। ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার। সেই সঙ্গেই অপূর্ব তিস্তা।
প্রথমত কালীঝোরা হয়ে আসার পথে আপনি তিস্তার এক অপূর্ব রূপ দেখতে পাবেন। সেই সঙ্গে একই ফ্রেমে ধরা পড়বে সেভকের রেল ব্রিজ আর ঐতিহ্যশালী করোনেশন ব্রিজ।
পানবুদারা থেকে কাছেই রয়েছে ইয়ামাখুম। সেখানে থাকার ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। ইয়ামাখুম থেকেও আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার মুখোমুখি হতে পারবেন।
চারখোল, কাফেরগাঁও যাওয়ার পথে অনেকে একবার পানবুতে ঘুরে যান। আসলে কালিম্পংয়ে পানবুদারা ভিউ পয়েন্টকে মিস করতে চান না পর্যটকরা। তবে পানবুদারার ক্ষেত্রে একটা সুবিধা, রাস্তা বেশ ভালো। একেবারে হোম স্টের দোরগোড়া পর্যন্ত গাড়ি যেতে পারে। এখানে ক্যাম্পিংয়ের সুবিধাও রয়েছে।
তবে শুধু পানবুদারা নয়, কাছেই রয়েছে সামথারা। (Samthar) সেটাও মিস করবেন না। সামথারা থেকেও আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন। এখান থেকে চারখোল, সিঞ্জিদারা, ঝান্ডিদারা, ডেলো, দুরপিন ঘুরে আসতে পারেন।
কীভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ি থেকে রম্ভিবাজার হয়ে পানবুতে আসা যায়। দূরত্ব প্রায় ৭৩ কিমি। পথে রেলিখোলাটা দেখে আসতে পারেন। আবার অন্যপথে কালীঝোরা হয়ে পানবু যেতে গেলে দূরত্ব কিছুটা কমবে। তবে কালীঝোরা হয়ে আসতে গেলে রাস্তা বেশ খাড়াই। এখানকার প্রাকৃতিক রূপও অসাধারণ।
তবে কালীঝোরা হয়ে আসতে গেলে কিছুটা অনুমতি নিতে হয়। এরপর ৭ কিমি আসার পরে প্রথমে পরবে পানবু। রাস্তাতেই দেখবেন তিস্তা, কাঞ্চনজঙ্ঘার শৃঙ্গ, সেভক রেল পুল, ডুয়ার্সের একাংশ। কিছুটা এগোলে প্রথমে ইয়াং মাকুম আর তারপর সামথার।