নৌকা চালিয়েই চলে সংসার। তাই নিজের নৌকাকে ডুবে যেতে দেখে থাকতে পারেননি মাঝি। জলে নৌকা তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে তিনি নিজেও ঝাঁপ দিয়েছিলেন জলে। আর তাতেই মর্মান্তিক পরিণতি হল মাঝির। জলে তলিয়ে গেলেন ওই মাঝি। ঘটনাটি পশ্চিম বর্ধমানের মাইথনের ফায়রিং রেঞ্জের জলাধারে ঘটেছে। আজ সকাল থেকে তার দেহ উদ্ধারের জন্য তল্লাশি চালান ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নৌকা চালকের নাম সুলেমান আনসারি (৬০)। গতকাল দুপুরে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে টাপুর দিকে তিনি রওনা দিয়েছিলেন। টাপুতে যাত্রী নামানোর পর ঘাটে নৌকা বেঁধে তিনি একটি গাছের তলায় বসে বিশ্রাম করছিলেন। তখনই ঘটে বিপত্তি। আচমকা জলের স্রোত বেড়ে যাওয়ার কারণে নৌকার বাঁধন খুলে গিয়ে নৌকাটি ভেসে যায়। তা দেখে সুলেমানও জলাধারের জলে ঝাঁপ দিয়ে দেন। কিন্তু, জলের স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে তিনি সাঁতার কেটেও বাঁচতে পারেননি। জলে তলিয়ে যান তিনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে প্রথমে কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশ এবং স্থানীয় মাঝিরা সুলেমানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। কিন্তু, তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আজ সকালে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীরা তার খোঁজে ফের জলাধারে তল্লাশি চালান। প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর স্থানীয় নৌকা চালকরায় অবশেষে সুলেমানের দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে কল্যাণেশ্বরী হাসপাতালে। তার জলে ডোবার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য তার দেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। তারপরে তার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেবে পুলিশ। এই ঘটনায় সুলেমানের পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে।