হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে আরও একজনকে পাকড়াও করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তের বন্ধু প্রভাকর পোদ্দারকে। ঘটনার দিন জন্মদিনের পার্টিতে প্রভাকর ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত নাবালিকার সঙ্গে প্রভাকর পোদ্দারেরও পরিচয় ছিল। পুলিশ ইতিমধ্যে খোঁজ নিতে শুরু করেছে, সেদিন জন্মদিনের পার্টিতে কারা কারা ছিল। পার্টি শেষে কে নাবালিকাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে গিয়েছিল, এই সব কিছু খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে পুলিশ। এরপরই মূল অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালির বন্ধু প্রভাকরকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রভাকরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জানতে চায় পুলিশ। প্রভাকরের সঙ্গে ধর্ষণকাণ্ডের সরাসরি যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নাবালিকার প্রেমিক সোহেল গোয়ালিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের কাজও চলছে। এর আগে সোহেলের দুই বন্ধুকে আটক করেছিল পুলিশ। জানা গিয়েছে, সোহেল এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে। গত সোমবার সোহেলের জন্মদিনের পার্টি ছিল। সেই পার্টিতে গিয়েছিলেন নাবালিকা। ঘটনার দিন এক মহিলা আত্মীয়াকে নিয়ে কিশোরী বাড়ি ফেরে। এরপর রাতে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর তাঁর মৃত্যু হয়। নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগ, সোহেলের পরিবারের তরফে দেহ তাড়াতাড়ি দাহ করানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। দেহ দাহ না করালে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।