নদিয়ার গাংনাপুরে চলন্ত ট্রেনে তরুণীর শ্লীলতাহানি ও ঠেলে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় দ্বিতীয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত প্রবীর গুপ্ত গাংনাপুর শ্মশান কলোনির বাসিন্দা সে। কাজকর্ম তেমন কিছু করে না। ট্রেনে দুষ্কর্ম করেই দিন কাটে তার।
গত শুক্রবার রাত ৯.৩০ মিনিট নাগাদ রানাঘাট – বনগাঁ লোকালের কামরায় এক তরুণীর শ্লীলতাহানি করে ২ দুষ্কৃতী। এর পর নবরায়নগরের বাসিন্দা ওই তরুণীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় তারা। যদিও তার আগেই বাড়িতে ফোন করে তাঁর আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান তরুণী। সঙ্গে সঙ্গে প্ল্যাটফর্মে হাজির হন তরুণীর পরিজন ও প্রতিবেশীরা। ট্রেন থেকে পালানোর সময় দিলীপ তালুকদার নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন তাঁরা। তবে প্রবীর তখন পালিয়ে যায়।
ঘটনার তদন্তে নেমে দিলীপকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন রেল পুলিশের আধিকারিকরা। অবশেষে সোমবার রাতে রানাঘাট স্টেশনে তাকে নিয়ে হাজির হন বনগাঁ রেল পুলিশের ওসি রুপসিনা পারভিন। দিলীপই চিনিয়ে দেয় অপর অভিযুক্তকে।
রেল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃতরা পরস্পরের পরিচিত। প্রবীর তেমন কোনও কাজ করে না। রানাঘাট মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনে পকেটমারিসহ নানা দুষ্কর্ম করে বেড়ায় সে। এই ঘটনায় আহত তরুণী গুরুতর আহত অবস্থায় কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওদিকে এই ঘটনার পর ওই শাখায় রাতের ট্রেনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মহিলাদের ফাঁকা কামরায় না ওঠার পরামর্শ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।