চলেছে গুলি। ঝরেছে রক্ত। খুন হয়েছেন কংগ্রেস কর্মী, গোষ্ঠী কোন্দলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তৃণমূল কর্মী। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে আবার অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল প্রার্থীদের বাড়িতে নাকি মনোনয়ন পত্র 'হোম ডেলিভারি' করা হচ্ছে। এই সব হিংসা এবং বিতর্কের মাঝেই এবার বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সংবাদসংস্থা এএনআই অনুযায়ী, হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে মনোনয়ন প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে হাই কোর্টের তরফেও মনোনয়ন প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে বলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসছে। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মী খুন হন। দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী। এদিকে ভাঙড় ২ নং ব্লকে আইএসএফ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়া ঘিরেও উত্তেজনা ছড়ায়। বিদ্যুৎ ঘোষ নামে এক সরকারি কর্মচারীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এদিকে ডোমকলেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। যাতে গ্রেফতার করা হয় ১৭ জনকে।
এদিকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন শুক্রবারে ১৩৫৬টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। শনিবার দ্বিতীয় দিনে ৯,৭৭২টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। হিসেব মতো দু'দিনে মোট ১১,১২৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। এর মধ্যে জেলা পরিষদে মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ১৭৩টি। পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট মনোনয়ন পড়েছে ১,৪২১টি এবং সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯,৫৩৪টি। এদিকে কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, বিজেপিরই সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে প্রথম দু'দিনে। মোট ৪,৯০৩টি মনোনয়ন পত্র জমা দেন বিজেপির মনোনীত প্রার্থীরা। এদিকে বাম প্রার্থীরা মোট ৪,২৪৯টি মনোয়ন জমা দিয়েছে। এদিকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মোট ৬৩৩টি মনোনয়ন জমা পড়েছে।