রাজ্যজুড়ে এখন তাপপ্রবাহ চলছে। গলদঘর্ম হয়েই লোকাল ট্রেনে করে অফিস থেকে শুরু করে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে মানুষজনকে। তার মধ্যে যদি বিপত্তি ঘটে তাহলে তো কথাই নেই। চরম নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। এবার আবার দুর্ভোগে পড়তে হল পান্ডুয়া লোকালের ডাউন লাইনের যাত্রীদের। ট্রেন স্টেশন থেকে বেরনোর পরে কিছুটা এগোতেই ভেঙে পড়ে গেল প্যান্টোগ্রাফ। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এবার প্রবল গরমে এমন ঘটনা ঘটল। আর তার জেরে ট্রেনে আটকে থেকে কালঘাম ছুটল যাত্রীদের। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প হিসেবে এই দাবদাহের মধ্যেই ট্রেন থেকে নেমে পড়ে রাস্তায় হাঁটতে শুরু করলেন যাত্রীরা।
এই ঘটনায় থমকে যায় লোকাল ট্রেন। তাতেই চরম অস্বস্তি তৈরি হয় যাত্রীদের মধ্যে। বাইরে তখন প্রচণ্ড গরম। আর ট্রেনের ভিতরে ঘামতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পড়ে যাত্রীরা জানান, ডাউন পান্ডুয়া লোকালটি স্টেশন ছেড়ে কিছুটা এগোতেই সমস্যা দেখা দেয়। জয়পুর রেল গেটে লেভেল ক্রসিংয়ে প্রবেশ করতেই ট্রেনটি থমকে যায়। আর তাতে প্রথমে আতঙ্ক তৈরি হলেও পরে সেটা কেটে যায়। কারণ খবর মেলে প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে গিয়েছে। ক্রসিংয়ে ট্রেন তখন দাঁড়িয়ে পড়ে। আপ লাইন দিয়েও ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দেয়। তবে আপ লাইনে বর্ধমানের দিকে ট্রেন চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: বিপুল পরিমাণ শিক্ষকদের চাকরি গিয়েছে, ভোটের ডিউটি করতে কি রাজি হবেন?
যাত্রীদের একাংশ বিক্ষোভও দেখান। কারণ কয়েকদিন আগে লোকাল ট্রেনের তলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। তাতে আতঙ্ক দেখা দিল। আবার প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে পড়ল। খবর পেয়ে ছুটে আসেন রেল দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। ততক্ষণে ক্ষোভ চরমে উঠে যায় যাত্রীদের। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রেনের এই ভেঙে পড়া প্যান্টোগ্রাফ মেরামতের চেষ্টা করছেন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ট্রেনের কামরায় অপেক্ষা করে ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে যাত্রীদের মনে। অনেক যাত্রী তখন ট্রেন থেকে নেমে পড়ে সড়কপথ ধরেন। প্রবল রোদের তাপে পুড়তে হয় তাঁদের। আর রেল গেট বন্ধ থাকায় গাড়ি চলাচলেও সমস্যা দেখা দেয়।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অন্যান্য যানবাহন রেলগেট পেরিয়ে যেতে পারছে না। ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে পড়বে সেটা কেউ কল্পনাও করেননি। গরমের সময় এই ঘটনা ঘটায় চূড়ান্ত নাকাল হতে হয়েছে যাত্রীদের। গত শনিবার ডাউন ব্যান্ডেল লোকালের তলা থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। আতঙ্কে তখন চুঁচুড়া স্টেশনে নেমে পড়েন যাত্রীরা। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রেন চলাচল শুরু করলেও নাকাল হতে হয়েছিল। ব্রেক বাইন্ডিংয়ের জেরে ধোঁয়া বেরচ্ছিল।