কথা রাখেনি সরকার। ১৬ বছর ধরে শিক্ষকতা করার পরও আসেনি স্বচ্ছলতা। তাই চরম পথ বেছে নিলেন এক পার্শ্বশিক্ষক। আত্মঘাতী হলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পার্শ্বশিক্ষক দুলাল চন্দ্র দে (৫০)। মঙ্গলবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। রবিবার মৃত্যু হয় তাঁর। পার্শ্বশিক্ষকদের সংগঠনের দাবি, এই নিয়ে ১৮৪ জন....
২০০৪ সাল থেকে পার্শ্বশিক্ষকের চাকরি করছেন দুলালবাবু। মাইনে যৎসামান্য। তার ওপরে শরীরে বাসা বেঁধেছিল নানা অসুখ। সব মিলিয়ে সংসার টানতে পারছিলেন না তিনি। তাই চরম সিদ্ধান্ত। জানিয়েছেন পরিজনরা।
পার্শ্বশিক্ষকদের সংগঠনের পক্ষে ভগীরথ ঘোষ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ধীরে ধীরে পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও বেতনক্রমে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। আমাদের সহকর্মীরা ২৮ দিন ধরে বিকাশ ভবনের সামনে সুবিচারের দাবিতে অবস্থান করছেন। সরকারের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।’
তাঁর আক্ষেপ, পার্শ্বশিক্ষকরা বেতনের নামে যে টাকা পান তাতে সংসার চলে না। প্রাথমিকে ৮,৮০০ টাকা ও উচ্চ প্রাথমিকে ১১,৩০০ টাকা মেলে। এতে এই বাজারে পরিবারের পাশে দাঁড়ানো মুশকিল। দুলালবাবুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভগীরথবাবু।