যেকোনো সময় তিনি খুন হতে পারেন বলে আতঙ্কিত ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে চিঠি দিলেন পুলিশ সুপারের কাছে। বুধবার সকালে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এদিনই তিনি নিজের প্যাডে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের দফতরেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। তাকে নাকি খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরেশের। যে কোন সময় তিনি খুন হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। এর আগেও তিনি একই অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগে চিরঞ্জিত হালদার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সম্প্রতি সে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। ছাড়া পেয়েই পুনরায় বিধায়ক কে খুনের পরিকল্পনা করছে চিরঞ্জিত ওরফে চিরণ। ৬ – ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দুষ্কৃতীদের ভাড়া করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। আর সেই কারণেই বুধবার দুপুরে বারুইপুর এসপি অফিসে গিয়ে চিরঞ্জিত ও তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাণের আশঙ্কার কথা তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন বলে দাবি করেন পরেশরাম।
মানিকের দুর্নীতিতে সারদাকাণ্ডের ছায়া, চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির
এই নিয়ে রাজ্য তৃণমূলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, উনি কাকে, কেন ভয় পাচ্ছেন সে উনিই বলতে পারবেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।
ঘটনায় ফের শাসকদলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, যে শাসকের জমানায় নিজের দলের বিধায়ক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সেখানে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা ভাবুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়কই বলে দিলেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাঁর মুখ্যমন্ত্রী সম্পূর্ণ ব্যর্থ।