বিজ্ঞাপনে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তরুণীদের হোটেলে ডেকে এনে তাঁদের সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার এক ফটোগ্রাফার। রবিবার রাতে চুঁচুড়ার এক আবাসন থেকে কৃষ্ণ ঘোষ নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি শিলিগুড়িতে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় আর কারা জড়িত জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, কয়েক মাস আগে ব্যান্ডেলের বাসিন্দা এক তরুণী অভিযোগ করেন, পোলবার একটি হোটেলে বিজ্ঞাপনের ফটোশ্যুটের নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়েছে ফটোগ্রাফার। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথমে তাঁকে বধূবেশে ছবি তোলার প্রস্তাব দিয়েছিল কৃষ্ণ ঘোষ। সঙ্গে ছিল মোটা টাকার প্রস্তাব। তবে শর্ত ছিল একটাই, ছবি তুলতে আনতে হবে নিজের আসল সোনার গয়না।
প্রস্তাবে রাজি হয়ে কৃষ্ণ ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন তরুণী। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পোলবার একটি হোটেলে। সেখানে প্রথমে গয়না পরিয়ে বধূবেশে ছবি তোলা হলেও পরে তাঁকে স্বল্পবসনে ছবি তোলার প্রস্তাব দেয় কৃষ্ণ। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে স্বল্পবসনে কিছু ছবি তোলেন তিনি। এর পরই বেরিয়ে আসে কৃষ্ণর আসল রূপ। মহিলাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে সে। জানায়, সোনার গয়না তাঁর কাছে রেখে না গেলে তরুণীর ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেবেন তিনি। বাধ্য হয়ে যাবতীয় গয়না ফটোগ্রাফারের কাছে রেখে আসতে বাধ্য হন তিনি। গত শুক্রবার ঠিকই একই অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেন কলকাতা লাগোয়া বাগুইআটির বাসিন্দা আরও ২ তরুণী। এর পর তদন্তের গতি বাড়ান গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, যে হোটেলে ছবি তোলা হয়েছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা। শনাক্ত করা হয় কৃষ্ণকে। এর পর মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে চুঁচুড়ার আবাসন থেকে গ্রেফতার করা হয় যুবককে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত শিলিগুড়ির বাসিন্দা। চুঁচুড়ায় আবাসনে ভাড়া থাকত সে। মহিলাদের কাছ থেকে গয়না হাতানোর পর তা স্বর্ণঋণ প্রদানকারী সংস্থায় জমা রেখে ঋণ নিত অভিযুক্ত। আরও কার কার সঙ্গে সে এভাবে প্রতারণা করেছে তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।