বিভেদ মিটিয়ে মতুয়া ধর্মমেলা আয়োজনে হাত মিলিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর এবং বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১তম জন্মতিথি উপলক্ষে বনগাঁর ঠাকুরবাড়িতে এই বারুণী মেলা হবে। মেলা উপলক্ষে লক্ষাধিক ভক্ত আসতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই ভক্তদের উদ্দেশে ভাষণ রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল চলবে এই মেলা। তার আগে আজ এই মেলার সাফল্য কামনা করে এই বার্তা পাঠান প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বার্তায় লেখেন, এই মেলা এবং হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি যাতে সফল ভাবে পালিত হয়, সেই শুভকামনা করছি।
বিশেষ ট্রেনে উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ছাড়াও আরও অনেক রাজ্য থেকে ভক্তরা মেলায় যোগ দিতে আসবেন। পাশাপাশি আন্দামান থেকে মতুয়াদের নিয়ে বিশেষ জাহাজ আসবে খিদিরপুরে। এই আবহে মতুয়া ধর্মমেলার জন্য জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। শান্তনু ঠাকুরের ভাই সুব্রত ঠাকুর জানান, পরিবারের অন্দরে কিছুটা জট ছিল। তা মিটে গিয়েছে। তিনি জানান, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় কিন্তু ঠাকুরবাড়িতে সবাই এক।
এর আগে মমতাবালা ও শান্তনুর মধ্যে বিভেদের কাণে ভক্তরাও বিভক্ত ছিলেন। তবে এবার সেই বিভেদ মিটিয়ে একজোট হয়েছে পরিবার। উল্লেখ্য, রাজনৈতিক ভাবে বঙ্গ বিজেপির প্রতি ক্ষুণ্ণ রয়েছেন শান্তনু। রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন তিনি। তবে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মোদীর স্নেহভাজন শান্তনু ঠাকুর। এই আবহে ক্ষোভ প্রশমনে মতুয়াদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। শনিবার শান্তনু ঠাকুর নিজেই জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের কর্মসূচি।