পর্নফিল্মের শুটিংয়ে আপত্তি জানানোয় গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল এক যুবতী। সেই অভিযোগ মহিলা থানাতে জানাতে গেলেও লাঞ্ছনার শিকার হতে হল যুবতীকে। এফআইআর দায়ের না করেই ফিরিয়ে দিল পুলিশ। শেষমেষ পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। পুলিশ সুপারের তৎপরতায় ঘটনায় অভিযুক্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে কর্তব্যের গাফিলতির অভিযোগে এক মহিলা এসআইকে ক্লোজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থানা এলাকার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় নৃত্যশিল্পী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সনাতন বিশ্বাস নামে বারাসাতের ন'পাড়ার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার। দুজনের মধ্যে বেশ ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেই সূত্রে তাকে সিনেমায় কাজ দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওই যুবক। তারপর থেকে সনাতনের বাড়িতে যাতায়াত শুরু হয় যুবতীর। একটি ছবির শুটিং হওয়ার কথা ছিল। পরে যুবতী জানতে পারেন যে শুটিং করার কথা রয়েছে সে আসলে কোনও ফিল্মের শুটিং নয়, পর্নফিল্মের শুটিং।
বিষয়টি জানতে পেরে তাতে আপত্তি জানান যুবতী। তাতেই ঘটে বিপত্তি। এরপর ওই যুবক তাকে ধর্ষণ করে এবং তার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে। শুধু তাই নয় সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার নাম ব্ল্যাকমেল করে তাকে বেশ কয়েকবার গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। এমনকি যুবতীর কাছ থেকে কয়েক দফায় বেশ টাকাও নেয় বলে অভিযোগ।
শেষে গত মাসের ১২ তারিখে ওই তরুণী বারাসত মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত মহিলা পুলিশের এসআই তার অভিযোগ নিতে চাননি। পরে ২৬ অগস্ট আবার তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানে বিচার না পেয়ে শেষমেষ তিনি বারাসত জেলার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। এরপরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল তাদের বারাসত আদালতে তোলা হলে তার মধ্যে দুইজনকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।