বাংলায় পর্যটকদের অন্যতম ঠিকানা হল তাজপুর। উৎসবের মরশুমে সেখানে উপচে পড়া ভিড় হয় পর্যটকদের। সামনে বড়দিন, তারপরে নববর্ষ। এই দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে সেখানে পর্যটকদের ভিড় হবে। তার আগে সেখানে বড়সর মধুচক্রের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। তাজপুরের বিভিন্ন হোটেলে হানা দিয়ে দুজন লিজ মালিকসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এর পাশাপাশি ১৬ জন তরুণীকে উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: সিপিএম কাউন্সিলরের আবাসনেই ধরা পড়ল মধুচক্র, সরগরম উত্তরপাড়ায় আটক ৪
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্র। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সেখানে হানা দিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের তিন দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অন্যদিকে, উদ্ধার হওয়া তরুণীদের হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত এখানে বেড়াতে আসে পর্যটকদের প্রলোভন দেখিয়ে মধুচক্রের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করায় তাদের উদ্দেশ্যে ছিল। আর উদ্দেশ্যে হোটেল ব্যবসার আড়ালে সেখানে মধুচক্র চালানো হচ্ছিল। ধৃত ৭জনের নাম হল সমীর প্রধান, সোমনাথ প্রধান, মির্জা সত্তার বেগ, কার্তিক জানা, শুভঙ্কর গিরি, শুভময় পণ্ডা এবং তারক মাঝি। ধৃতরা সকলে পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। এর মধ্যে প্রথম দুজন হোটেলের লিজ মালিক। উদ্ধার হওয়া তরুণীরা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, দার্জিলিং, ক্যানিং, বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের দেহ ব্যবসায় নামানো হয়।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই সমস্ত জেলা ছাড়াও অন্যান্য জেলা থেকেও তরুণীদের নিয়ে এসে এখানে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হয়। মঙ্গলবার রাতে কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে হোটেলগুলিতে হানা দেয় মন্দারমণি উপকূল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখানে হানা দিয়ে একটার পর একটা হোটেল খুলতেই একাধিক যুবক-যুবতীকে দেখতে পায় পুলিশ। পুলিশের তরফে আধিকারিক সোমনাথ সহ জানিয়েছেন, তাজপুরে হোটেলে মধুচক্র চলার খবর গোপন সূত্রে পেয়ে সেখানে হানা দেওয়া হয়। তাতেই সাত জনকে গ্রেফতার এবং ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি সেখানকার আরও কোনও হোটেলে দেহ ব্যবসা চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর জন্য ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া তাদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।