তাঁকেও খুন করার চেষ্টা করেছিল ভাই আসিফ। কিন্তু বরাতজোরে পালিয়ে বেঁচেছিলেন। একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন বাবা-মা-বোন ও ঠাকুমার পরিণতি সম্পর্কে। তার পরও কেন চার মাস মুখ বন্ধ করে ছিলেন কালিয়াচক কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আসিফের দাদা আরিফ? সোমবার সেই প্রশ্নের জবাব পেলেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গোপন ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে লাগাতার ব্ল্যাকমেল করত আসিফ। সেই ভয়েই এতদিন মুখ খোলেননি তিনি।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, আসিফের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচার পরেও ভাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশে কোনও অভিযোগ করেননি দাদা আরিফ। চার মাস মুখ বন্ধ করে ছিল সে। যদিও পরিবারের বাকি সদস্যদের পরিণতি নিয়ে মোটামুটি নিশ্চিত ছিলেন যুবক। তার পরেও কেন পুলিশকে কিছু জানাননি তিনি? তবে কি খুনে যুক্ত তিনিও?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, আরিফের সঙ্গে তাঁর বান্ধবীর ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ভিডিয়ো করে রেখেছিল আসিফ। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে দাদাকে ব্ল্যাকমেল করতো সে। মুখ খুললেই ভিডিয়ো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত। নিজের ও প্রেমিকার সম্মানের কথা ভেবে তাই এতদিন কোনও কথা বলেননি তিনি। দাদার এই দাবি মেনে নিয়েছে আসিফও।
সোমবার আসিফদের বাড়িতে যান সিআইডির তদন্তকারীরা। কী ভাবে খুন করা হয়েছে তা বোঝার চেষ্টা করেন তাঁরা। এই খুনের পিছনে কী কী কারণ থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।